অন্যরকম

কুমিরের বাচ্চা নিমিষেই গিলে ফেলে পাখি!

প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

পাখিগুলো উচ্চতায় ৫ ফুট। ভয়ংকর আক্রমণকারী ও শিকারি। দৈত্যাকার ঠোঁট দিয়ে শিকারকে পুরো গিলে খায়। শিকার ধরতে জলাভূমিতে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত একা দাঁড়িয়ে থাকে স্থির হয়ে। এমনই এক পাখি যার নাম ‘শোবিল’। ভয়ংকর এবং প্রাগৈতিহাসিক চেহারার অধিকারী পাখিটি ১ দশমিক ৫ মিটার বা ৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। একটি তীক্ষè ধারযুক্ত ঠোঁট ১ ফুট দীর্ঘ হয়ে থাকে। শোবিল পাখিরা বেশিরভাগ সময় একা থাকে। তবে প্রজননের সময় জোড়ায় দেখা যায়। একসঙ্গে তিনটি ডিম দেয়। যদিও ভাইবোনদের মধ্যে ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতায়’ সাধারণত কেবল একটি বাচ্চাই প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত বেঁচে থাকে। এরা তাদের ভাই-বোনদের মেরে ফেলে, যে বেঁচে যায় সে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকে। এ কারণে এদের একাকী পাখিও বলা হয়ে থাকে। ২০১৫ সালের আফ্রিকান পক্ষীবিজ্ঞান নিয়ে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শোবিল পাখি সবচেয়ে বেশি শিকার করে ‘ক্যাটফিশ’ নামক এক ধরনের মাছ। এর খাবারের প্রায় ৭১ শতাংশই বলা চলে ক্যাটফিশ। তবে এরা ঈল ও সাপ- এমনকি বাচ্চা কুমিরও গিলে খেয়ে ফেলে। প্রাণীবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা যুক্তরাজ্যের সম্প্রচারক ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা ডেভিড অ্যাটেনবরোর সিরিজ ‘আফ্রিকা’র একটি ক্লিপে ধরা পড়েছে, বয়স্ক ছানাটি তার ছোট ভাইকে কামড় দিচ্ছে। মা যখন নীড়ে ফিরে আসে, তখন এটি ছোট বাচ্চাদের কোনো যত্ন নেয় না। যদিও কখনো কখনো শোবিলকে ভুলভাবে ‘সারস’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। পেলেকানিফর্মস অর্ডার থেকে এর পূর্বপুরুষরা ক্রিটেসিয়াস পিরিয়ডের (ভূতাত্ত্বিক সময়কাল) শেষে (১৪৫ মিলিয়ন থেকে ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে) পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন-ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অব নেচার) রেড লিস্টে বিপন্ন হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে শোবিল পাখিটি। মাত্র পাঁচ থেকে আট হাজারের মতো পাখি পৃথিবীতে অবশিষ্ট আছে।