ডম্বুর বাঁধ অভিমুখে লংমার্চ
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাবি প্রতিনিধি
আন্তর্জাতিক নদীতে ভারতের বাঁধ নির্মাণ, যখন তখন সেগুলো খুলে দেয়া ও বন্ধ করে দেয়ার মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে বাংলাদেশে বন্যা ও নদীর নাব্যতা কমিয়ে ফেলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজুতে গণধিক্কার ও ভাঙার গান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বিকাল চারটায় ইনকিলাব মঞ্চের আয়োজনে এই প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের অন্যতম মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী বলেন, গতকাল সকাল ৯টায় ঢাকার শাহবাগ থেকে দশ ট্রাক নিয়ে আমরা ভারতের ডম্বুর বাঁধ অভিমুখে লংমার্চ করবো।’ দেশের আপামর জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা সাথে হাজারও গাড়ি নিবেন।’
অনুষ্ঠানে আগ্রাসন বিরোধী গান, কবিতাসহ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পরিবেশিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেড়ে ওঠা জনপ্রিয় র্যাপ গানের শিল্পী মাহমুদ হাসান তাবীবসহ জনপ্রিয় অনেক ব্যান্ড ও শিল্পীরা এতে তাদের পরিবেশনা করেন। এ সময় ফেলানির ভাই দিচ্ছে ডাক, নদীর খুনি নিপাত যাক; সোনিয়া আর গেড়ুয়া মোদী, গুম করেছে আমার নদী; খুনি ভারতের নদীর বাঁধ, বাংলাদেশের মরণ ফাঁদ; তিস্তা টিপাই ফারাক্কা, তোল রে আওয়াজ দে ধাক্কা; ইন্তিফাদা অ্যাগেইনস্ট ইন্ডিয়া ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
পাশাপাশি দিল্লি না ঢাকা ঢাকা; ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ; সফল করো করতে হবে, লংমার্চ লংমার্চ ইত্যাদি স্লোগান চলে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মুখপাত্র হাদী বলেন, এখনো একজন আমেরিকা এবং আরেকজন ভারত থেকে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করোই চলেছে। এই দেশের ছাত্র-জনতা কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে কখনো মাথা নত করে না। আন্তর্জাতিক নদীতে বাঁধ দিয়ে আবার সেগুলো ইচ্ছেমত নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে অন্যদেশে সঙ্কট সৃষ্টির অধিকার কারো নাই। ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা বলেন, আমরা ১৯৫২, ৬৯, ৭১ এবং সর্বশেষ ২৪ এর জুলাই মুভমেন্টের মাধ্যমে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয় ছিনিয়ে এনেছি। আমাদের বিজয় ছিনিয়ে আনতে যারা অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে, শাহাদাত বরণ করেছে আমরা তাদের কখনো ভুলব না। ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বাংলাদেশের প্রথম শহীদ আবরার ফাহাদের চেতনাকে ধারণ করেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো। আমরা কারও দাসত্ব মেনে নেব না। অনেক একাডেমিশিয়ান বলতে চান এই বন্যা প্রাকৃতিক। আমরা খুব শিগগিরই প্রেসক্লাবে একটা সেমিনার করে একাডেমিকভাবেও তাদের প্রমাণ করে দেব এই বন্যা রাজনৈতিক বন্যা।