ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জামায়াতের আগ্রহ নিয়ে আলোচনা হতে পারে : ভারত

জামায়াতের আগ্রহ নিয়ে আলোচনা হতে পারে : ভারত

ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক চায় বলে যে ঘোষণা দিয়েছেন জামায়েত ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। দিল্লির নজরে এসেছে এ বক্তব্যটি। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা করছে, ভবিষ্যতে এ নিয়ে আরো আলাপ-আলোচনা হতে পারে।

গত শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল দিল্লিতে মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেছেন।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে সাংবাদিকরা নানা প্রশ্ন করেন। এগুলোর মধ্যে যেমন ছিল জামায়েত ইসলামীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, তেমনই ছিল সাম্প্রতিক বন্যার দায় কার, তা নিয়ে বাংলাদেশের একাংশ থেকে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা এবং বাংলাদেশে ভারতীয় প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎসহ নানাবিষয়। আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ফোনালাপের পরে দুই দেশ পৃথকভাবে যে বিবৃতি দিয়েছিল, সেই দুটিতে বাংলাদেশকে নিয়ে দুই ধরনের বক্তব্য আসার প্রসঙ্গও উঠেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ ব্রিফিংয়ে।

জামায়েতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ১ আগস্ট যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল শেখ হাসিনার সরকার, তা ২৮ আগস্ট প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

এরপর বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করতে গিয়ে জামায়েতের আমীর শফিকুর রহমান বলেছেন, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে তাদের দল আগ্রহী।

এই মন্তব্য নিয়েই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘জামায়েতে ইসলামীর দিকে অভিযোগ ওঠে যে সেখানে তারা ভারত-বিরোধী মনোভাবকে প্ররোচনা দেয়। কিন্তু এখন যখন তারা ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি চায়। এ নিয়ে ভারত সরকারের অবস্থান কী?’

এই প্রশ্নের উত্তর সরাসরি না দিয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাতের ব্যাপারে বিস্তারিত বলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।

প্রধান উপদেষ্টা ও ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা, বাংলাদেশে হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেয়া, সাম্প্রতিক বন্যা ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করে জয়সওয়াল মূল প্রশ্নের জবাব এক লাইনে সেরে দেন।

প্রশ্নকর্তা সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি অন্য যে বিষয়টির প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন (অর্থাৎ জামায়েতে ইসলামীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রসঙ্গ), সেটা আমাদের নজরে এসেছে এবং আমরা আশাবাদী যে বিষয়টি নিয়ে পরে আমরা আরও আলাপ আলোচনা করব।

অন্য এক সাংবাদিক জামায়েতে ইসলামীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে মুখপাত্রর কাছে জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, আমরা এটিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসাবে দেখছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত