দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় কৃষিতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ওলকচুর চাষাবাদ। উচ্চ ফলনশীল এ সবজি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন ১৩ উপজেলার কৃষকরা। স্থানীয়ভাবে অনেকটা অপরিচিত এ সবজি থেকে দ্বিগুণ মুনাফার স্বপ্ন দেখছেন তারা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষক নির্বাচিত করে। তাদের ওলচাষের পদ্ধতি ও চাষাবাদ বিষয়ে প্রশিক্ষণের পর বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের জন্য ‘ওলকচুর প্রদর্শনী’ হিসেবে বীজ, সার ও পরিচর্যার জন্য খরচ প্রদান করা হয়। মাদ্রাজি ওলকচু জাতের এসব বীজ খুলনা ও চুয়াডাঙ্গা থেকে নিয়ে আসা হয়। এসব বীজ এপ্রিল মাসের শেষের দিকে রোপণ করা হয়েছিল। যা চলতি মাসে উত্তোলন করা হবে। সরেজমিন কয়েকটি উপজেলায় ওলকচু খেতে গিয়ে দেখা যায়, উঁচু জায়গার উপর ওলকচু চাষ করেছেন কৃষকরা। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে, বেড়ে উঠছে সারি সারি সবুজ ওলগাছ। কয়েকটি শাখায় বিভক্ত হয়ে পাতাগুলোকে দুই দিকে সাজিয়েছে গাছগুলো। এসময় গাছের পরিচর্যা করছিলেন কৃষক। জানা যায়, প্রতিটা গাছে সাত থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। আবহাওয়া ও পরিচর্যা ভালো হওয়ায় এ জমি থেকে প্রতি বিঘায় ৩০০-৩৫০ মণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া যেতে পারে। বাজারে প্রতি কেজি ওলকচুর দাম ৪০-৫০ টাকা। সে হিসাবে খরচ বাদে ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা মুনাফা করার স্বপ্ন রয়েছে তাদের। দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুজ্জামান বলেন, সব অঞ্চলেই উঁচু জমিতে ওলকচু চাষ করা যায়। বর্তমানে বাজারে দাম ও চাহিদা ভালো থাকায় বাণিজ্যিকভাবে ওলচাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব। এই ওল চাষ সম্প্রসারণে আমরা কৃষকদের উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধকরণের চেষ্টা করছি ও নানাভাবে পরামর্শ দিচ্ছি। কন্দাল ফসল হিসেবে ওলকচুর চাষ দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলায় কৃষিতে নতুন সম্ভবনাময় ফসল এবং আগামীতে এ ফসলের চাষাবাদ বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা করেন।