সুসংবাদ প্রতিদিন
মোরেলগঞ্জে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন
চাষির মুখে হাসির ঝিলিক
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
এসএম সাইফুল ইসলাম কবির, মোরেলগঞ্জ
বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের উপকূলীয় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ শস্যভাণ্ডার নামে খ্যাত উর্বর ভূমি মৎস্য ঘেরের ভেড়িতে মিষ্টি কুমড়া চাষে বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি। ঘেরের ভেড়িতে মিষ্টি কুমড়ার স্বাদ বেশি। ফলে রাজধানী ঢাকার কাওরান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মোরেলগঞ্জের মিষ্টি কুমড়া বাজারজাত করা হচ্ছে। খেতেই কুমড়ার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। প্রতিটি কুমড়া ওজন ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে মৎস্য ঘেরের ভেড়িতে পুরো গ্রামজুড়ে মিষ্টি কুমড়ার মাঁচা। সবুজ পাতায় ঘেরা এই মাঁচার নিচে ঝুলছে মিষ্টি কুমড়া। কৃষকরা মাঁচা থেকে মিষ্টি কুমড়া সংগ্রহ করছেন। শুধু তাই নয়, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই গ্রামের মিষ্টি কুমড়া পাইকারদের হাত ধরে চলে যাচ্ছে সারাদেশে। গ্রামটির মিষ্টি কুমড়া সারাদেশে বেশ চাহিদা রয়েছে। মৌসুমে উপজেলায় প্রায় কোটি টাকার শীতকালীন আগাম সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সবজি উৎপাদনে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে সফলতা পেয়েছে বলে মনে করছে কৃষক ও কৃষি বিভাগ। ফলে ভালো উৎপাদনের পাশাপাশি মোরেলগঞ্জে গড়ে উঠেছে সবজির বাজার। সারা বছরই মোরেলগঞ্জে সবজির আবাদ হয়। ফড়িয়া ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে এসে দরদাম করে ট্রাকযোগে তা নিয়ে যাচ্ছে। মোরেলগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি এসএম সাইফুল ইসলাম কবির বলেন, কৃষককে সার, বীজ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করে কৃষি বিভাগ। বিভিন্ন সীড কোম্পানি পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে সার ও বীজ দিয়ে গরিব কৃষকদের সহযোগিতা করতে হবে। মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মৎস্য ঘেরের ভেড়িতে মিষ্টি কুমড়া চাষে উপকরণ সহায়তা প্রদান শীর্ষক উপ-প্রকল্পের আওতায় ২০০ জন চাষি ২০৫ হেক্টর জমিতে কুমড়া চাষ করেছে। তাদের বীজ, রাসায়নিক সার প্রদানসহ পোকাণ্ডমাকড় দমনে নানা উপকরণ সহায়তা করা হয়েছে।’