ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

পেঁপে চাষে ভাগ্য বদলেছে হেলালের

পেঁপে চাষে ভাগ্য বদলেছে হেলালের

পেঁপে চাষে ভাগ্য বদলেছে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাটের কৃষক হেলাল উদ্দিনের। দুই বছর আগে স্থানীয় আব্দুর রসীদ নামে এক যুবকের পরামর্শে ১৬ শতাংশ জমিতে ‘টপলেডি’ জাতের পেঁপে দিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন। সে সময় ১৪ হাজার টাকা খরচে লাভ হয়েছিল লক্ষাধিক টাকার ওপরে। বর্তমানে ১৭০ শতাংশ জমিতে পেঁপে চাষ করছেন হেলাল। যা থেকে বছরে ২০ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

সরেজমিন হেলালের পেঁপে বাগানে গিয়ে দেখা যায়, পাঁচ মাস বয়সি প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় পেঁপে ঝুলে আছে। মাটি থেকে গাছের আগা পর্যন্ত শুধু পেঁপে আর পেঁপে।

চাষি হেলাল বলেন, প্রতিটি গাছে এক মন থেকে আড়াই মন পর্যন্ত পেঁপে আছে। আর একেকটি পেঁপের ওজন এক থেকে তিন কেজি পর্যন্ত। এসব পেঁপে পাকতে শুরু করলে গাছ থেকেই বিক্রি করব। কারণ কাঁচা পেঁপের চেয়ে পাকা পেঁপে বিক্রিতে তিনগুণ বেশি লাভ।

তিনি আরো বলেন, পাকা পেঁপে পাইকারি প্রতি কেজি আমরা ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি করি। এতে একটি গাছ থেকে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়।

মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাইফুল আবেদীন জানান, এ উপজেলায় ১৭টি ইউনিযনে চলতি বছর ৭শ’ হেক্টর জমিতে পেঁপে আবাদ করা হয়েছে। তিনি চলতি বছর আবহাওয়া ভালো থাকলে ১ হাজার ৮শ’ মেট্রিক টন পেঁপের উৎপাদন হতে পারে।

গত মঙ্গলবার রংপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, এ বছর জেলায় ৮ উপজেলায় ২০০ হেক্টর জমিতে পেঁপের চাষাবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২-১৩ হাজার মেট্রিক টন। তিনি বলেন কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের পেঁপে চাষে উন্নত প্রযুক্তি প্রদান করা হয়। মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

তিনি আরো বলেন, হেলালের সফলতা দেখে বালারহাটের শতাধিক কৃষক পেঁপে চাষে ঝুঁকছেন। সম্ভাবনা থাকায় পেঁপে চাষে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শসহ যাবতীয় সহায়তা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত