যমুনার চরাঞ্চলে ভাঙন শুরু
ভাঙন রোধে যথাসময়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
এসএম তফিজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে ভাঙনে বহু ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনে যমুনা পাড়ের মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জে এবার নিম্নাঞ্চলে বন্যা-পরবর্তীতে যমুনার তীরবর্তী চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে এ ভাঙন শুরু হয়েছে। যমুনার পানি কমতে থাকায় এ ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে এবং নদী তীরবর্তী শাহজাদপুর, বেলকুচি, চৌহালী, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত বহু পরিবার এখন দিশাহারা। বিশেষ করে শাহজাদপুর, কাজিপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের ভাঙন পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এ চারটি উপজেলার বাঘুটিয়া, খাসরাজবাড়ি, জালালপুর, কৈজুরী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াকোলা, মেছড়া, ছোনগাছা ও খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন থামছে না। এ ভাঙনে সম্প্রতি এসব স্থানের বহু ঘরবাড়ি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গাছপালা ও জায়গা-জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। অতি সম্প্রতি সিরাজগঞ্জ সদর ও শাহজাদপুরে যমুনার তীব্র ভাঙনরোধে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে এবং এ মানববন্ধনে তারা স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। এ ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ভাটপিয়ারী, পাঁচঠাকুরী, দিয়ার পাচিল, ব্রাহ্মণবয়ড়া চরাঞ্চল ভাঙন এলাকার সোনা মিয়া (৭০), আব্দুল হালিম (৬৮) ইব্রাহিম করিম (৫০) ও জহুরুল ইসলামসহ অনেকে আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে চরাঞ্চলে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। এ ভাঙনে এরইধ্যে আখ, পাটসহ বিভিন্ন ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে এবং এ ভয়াবহ ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই যমুনার পাড় গ্রামঞ্চলে ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে। তারা আক্ষেপ করে আরো বলেন, ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত বহু পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। অনেকে বাড়িঘর হারিয়ে অনত্র মানবেতর জীবনযাপন করছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড যথাসময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এখন এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ ভাঙন রোধে যথাসময়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছি। এ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেড-কোয়ার্টার) নাজমুল হোসাইন আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এবার সিরাজগঞ্জের যমুনার তীরবর্তী ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যার আগে ও পরে অনেক স্থানে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভাঙন এলাকার ২-১টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে এবং এ ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া জেনেছি চরাঞ্চলে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। তবে চরাঞ্চলে ভাঙন রোধে এখন কোনো পরিকল্পনা নেই। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।