সরকারি অফিসে প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারের নির্দেশ

প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সব সরকারি অফিসে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্যসামগ্রী ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় প্লাস্টিকের ফাইল, ফোল্ডারের পরিবর্তে কাগজ বা পরিবেশবান্ধব অন্যান্য সামগ্রীর তৈরি ফাইল ও ফোল্ডার ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্লাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে কটন বা জুট ফেব্রিকের ব্যাগ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। প্লাস্টিকের পানির বোতলের পরিবর্তে কাঁচের বোতল ও কাঁচের গ্লাস ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

প্লাস্টিকের ব্যানারের পরিবর্তে কটন ফেব্রিক, জুট ফেরিক বা বায়োডিগ্রেডেবল উপাদানে তৈরি ব্যানার ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে। দাওয়াতপত্র, ভিজিটিং কার্ড ও বিভিন্ন ধরনের প্রচারপত্রে প্লাস্টিকের লেমিনেটেড পরিহার করতে বলা হয়েছে।

বিভিন্ন সভা বা সেমিনারে সররাহকৃত খাবারের প্যাকেট যেন কাগজের তৈরি ও পরিবেশবান্ধব হয়, সেটি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের প্লেট, গ্লাস, কাপ, স্টু, কাটলারিসহ সব ধরনের পণ্য পরিহার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্লাস্টিকের কলমের বদলে পেনসিল কাগজের কলম ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। বার্ষিক প্রতিবেদনসহ সব ধরনের প্রকাশনায় লেমিনেটেড মোড়ক ও প্লাস্টিকের ব্যবহার পরিহার করা এবং ফুলের তোড়ায় প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার অনুরোধ জানানো হয়।

বর্ণিত বিষয়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থাসগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়ার জন্য সব সিনিয়র সচিব বা সচিব, বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। অপরদিকে, প্লাস্টিকদূষণে সচেতনতা তৈরি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সচিবালয়কে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকমুক্ত ঘোষণার উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১৫ আগস্ট জারি করা এক চিঠির মাধ্যমে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের অনুরোধ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

গত ২৮ আগস্ট পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় জারি করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১৭ ধরনের বস্তু, সামগ্রী,পদার্থকে ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট জারি করা এক অফিস আদেশে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর ও সংস্থাগুলোকে ব্যক্তিগত ও দাপ্তরিক পর্যায়ে ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ ঘোষণা’ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যক্রম নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।