সুসংবাদ প্রতিদিন

বাণিজ্যিকভাবে বস্তায় আদা চাষে সফল হচ্ছে কৃষক

প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আজাহার আলী, বগুড়া

বগুড়ার শিবগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে বস্তায় আদা চাষে সফল হচ্ছে কৃষক। ফলে আগ্রহ বেড়েছে তাদের। বাড়ির আঙিনা, ছাদ, অনাবাদি ও পতিত জমিসহ বিভিন্ন জায়গায় বস্তায় মাটি ভরে কিংবা টবে আদা চাষ হচ্ছে। এতে আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে। মসলা এবং ভেষজ ওষুধ হিসেবে আদা ব্যবহার হওয়ায় এর দামও বেশ চড়া। পরিবারের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে বাড়তি লাভের আশায় বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছেন অনেকে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলায় চলতি মৌসুমে প্রায় ২৬ হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছেন এই এলাকার কৃষকরা। সফলতা পাওয়ায় আদার চাষের পরিধি দিন দিন বাড়ছে।

উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর, বোয়ালমারী, তালিবপুর, রহবল গ্রাম ঘুরে দেখে গেছে কৃষকরা বাড়ির আশপাশে বস্তায় আদার চাষ করছে। এদের মধ্যে তালিবপুর গ্রামের কৃষকরা বাড়ির পাশে পতিত জায়গায় সাড়িবদ্ধভাবে বস্তায় আদা চাষ করছে। এপ্রিল মাসের প্রথম থেকে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আদা লাগানো হয়। বোয়ালমারী গ্রামের কৃষক মাসুদ মিঞা জানান, আদা চাষে আলাদা জমির প্রয়োজন হয় না। বস্তা স্থানান্তর করা যায় বলে অতিবৃষ্টি বা বন্যার পানি জমে ফসল নষ্ট হয় না। রোগের আক্রমণও কম হয়। বাড়ির আশপাশের পরিত্যক্ত ও ছায়াযুক্ত জায়গা কাজে লাগিয়ে আদা চাষ করে বাড়তি আয় করা যায়। আদা চাষ বিষয়ে কৃষকরা জানান, বস্তায় আদা লাগানোর কয়েকদিনের মধ্যে চারা বের হয়ে দ্রুত বেড়ে উঠে আদা গাছ। বাড়ির পরিত্যক্ত জমি কাজে লাগিয়ে লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখা সম্ভব। সারিবদ্ধভাবে বস্তায় সবুজ আদা গাছ দেখতে এসে অনেকে মুগ্ধ হচ্ছেন। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, মাটির সঙ্গে গোবর, খৈল, ছাইসহ নানা জৈবসার মিশিয়ে কৃষকরা পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে বস্তায় আদার চাষ করছেন। এ জন্য তাদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। জেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, বস্তায় আদা চাষ করলে বাড়তি ফসলি জমির প্রয়োজন হয় না। বস্তার মাটি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। আমরা কৃষককে আদা চাষে উদ্ধুদ্ধ করছি এবং সহায়তা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি। যাতে বস্তায় আদার চাষ করে পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কৃষক বাড়তি আয়ও করতে পারে।