উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে ইউএনডিপি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইউএনডিপির প্রতিনিধি দল। আজ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এর অফিস কক্ষে ইউএনডিপির প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। সাক্ষাতের শুরুতে স্টিফেন লিলেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে অভিনন্দন জানিয়ে সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রাপ্ত নতুন বাংলাদেশের এই সরকারের কাছে জনগণের অনেক প্রত্যাশা। তাই স্বাভাবিকভাবে চাপও বেশি। ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে কাজ করতে হচ্ছে। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, গত ১৫ বছর ডিজিটাইজেশনের নামে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে আমরা সেগুলো তদন্ত করছি। এটুআই নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। আমরা এটুআই এর পলিসি পরিবর্তন করতে চাই। অনিয়ম দুর্নীতির জন্য আমরা এখনো কাউকে শাস্তি দেই নি। এইটুআই এর ১৪ কর্মকর্তাকে তদন্তের স্বার্থে কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছি। ইউএনডিপি যেহেতু এটুআই এর সঙ্গে জড়িত তাই আমরা তাদেরও তদন্ত করতে বলেছি। এক্ষেত্রে ইউএনডিপি চাইলে তদন্তের স্বার্থে তাদের সহযোগিতা করা হবে। স্টিফেন লিলেন বলেন, আমরা তদন্তের বিষয়টা খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখছি। তা ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়াও আমরা কিছু অভিযোগ পেয়েছি সেগুলো তদন্ত করছি। এটুআইয়ের সঙ্গে ২০২৫ সালের চুক্তি শেষ হবে উল্লেখ করে স্টিফেন বলেন, ভবিষ্যতে সরকারের সঙ্গে ইউএনডিপি কাজ করতে আগ্রহী। নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা হয়তো খুব বড় প্রকল্প করতে পারবো না। আমরা রোড ম্যাপ করছি পাশাপাশি গত ১৫ বছরে ডিজিটাল করার নামে যে সমস্যাগুলো ছিল তা পর্যালোচনা করছি, এ বিষয়ে ইউএনডিপির যদি কিছু বলার থাকে তা তারা বলতে পারে বলেও উপদেষ্টা মন্তব্য করেন। স্টিফেন লিলেন রোড ম্যাপে ইউএনডিপির ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চান। উপদেষ্টা ইউএনডিপির আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেন, গণঅভ্যুথ্যান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশি তরুণদের বিভিন্ন উদ্যোগ কে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচয় করিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে ইউএনডিপি ভূমিকা পালন করতে পারে। উপদেষ্টা বলেন আমরা ডিজিটাল বৈষম্য দেখতে পাচ্ছি। আইসিটির দিক দিয়ে প্রান্তিকভাবে আমরা পিছিয়ে আছি। আইসিটির সমস্ত সুবিধা আমরা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে চাই। তা ছাড়া তরুণদের সাইবার নিরাপত্তা, আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে চাই, যেন তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এসব বিষয়ে ভালোভাবে কাজ করতে পারে। বাংলাদেশি ছাত্ররা যারা বিভিন্ন দেশে তথ্য প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ হিসেবে কাজ করছে, তাদের সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করা হবে, যারা দেশের তরুণদের তথ্য প্রযুক্তি খাতে অভিজ্ঞ করে গড়ে তুলতে পারবে বলে প্রতিনিধিদের জানান উপদেষ্টা।