ভারত বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব চায় না
প্রশ্ন রিজভীর
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের মানুষের কথা গুরুত্ব না দিয়ে ভারত যদি শুধু শেখ হাসিনার কথা বিবেচনা করে, তবে দেশের মানুষ বিদেশি শক্তিকে রুখে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশ আশ্রয় দেয়নি মন্তব্য করে রিজভী প্রশ্ন রেখে বলেন, ভারত কি আবারও তার (শেখ হাসিনা) জমিদারি ফিরিয়ে আনতে চায়? তারা কি বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব চায় না? গতকাল শনিবার নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন রিজভী।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পেটুয়া বাহিনী দিয়ে দেশের মানুষের প্রতি অমানবিক নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন শেখ হাসিনা। তাই যুক্তরাজ্য ও আমেরিকার মতো পৃথিবীর বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশ তাকে আশ্রয় দেয়নি।
রিজভী প্রশ্ন রেখে বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার জমিদারি আবারও কি ফিরিয়ে আনতে চায় ভারত? তারা কি বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব চায় না? তারা যদি বাংলাদেশের মানুষের কথা গুরুত্ব না দিয়ে শুধু শেখ হাসিনার কথা বিবেচনা করে, তবে বাংলাদেশের মানুষ বিদেশি শক্তিকে রুখে দেবে।
ওবায়দুল কাদের প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছিল, শেখ হাসিনা পালায় না। তারা এখন কোথায়? তাদের এখন কোথাও জায়গা নেই। ভারতে বসে সে কী করছে? যে গণতন্ত্রকামী দেশগুলো আশ্রয় দেয় তারাও শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়নি।
সম্প্রতি ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্য বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগজনক উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনার জমিদারি ফেরত দেয়ার জন্য কি তারা চেষ্টা করছে?
ভারতের উদ্দেশে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে তাদের চাওয়াটা কী? তারা কি শেখ হাসিনার শূন্যতা ভুলতে পারছে না? তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শেখ হাসিনা, এদেশের মানুষ না। তারা বিশেষ ব্যক্তির সঙ্গে যে যোগাযোগ রাখতে চায় সেটা দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে- এটা তাদের মাথায় রাখা উচিত। বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা পুনঃতদন্তেরও দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, পিলখানা নিয়ে পেনডোরার বাক্স খুলতে শুরু করেছে। আমাদের বর্তমান সরকারের উচিত সকল কিছু পুনঃতদন্ত করে দেখা। পিলখানার ঘটনা ছিলো দূরভিসন্ধিমূলক। এখনো সুষ্ঠু তদন্ত হলে সব ঘটনা বেরিয়ে আসবে।