সাভারের আশুলিয়ায় টানা কয়েক দিনের শ্রমিক অসন্তোষের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সকালে কাজে যোগ দিয়েছিলেন পোশাক শ্রমিকরা। কাজে যোগ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর অন্তত ১৭টি পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের সাধারণ ছুটি দেয়া হয়েছে। তবে কোথাও বড় রকমের বিশৃঙ্খলা কিংবা সড়কে বিক্ষোভের ঘটনা জানা যায়নি। গতকাল শনিবার বিকাল ৩টার দিকে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম ১৭টি পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, গত কয়েক দিনে টানা শ্রমিক অসন্তোষে শিল্প কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। পরে আজ সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে পোশাক কারখানায় কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। পরে দুপুরে আশুলিয়ার নরসিংহপুরে হা-মীম ও শারমিন পোশাক কারখানায় দুপুরে শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি শুরু করেন। পরে অন্যান্য পোশাক কারখানাগুলো ভাঙচুরের হাত থেকে রক্ষার জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। বাংলাদেশ গামের্ন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, সকালে বেশিরভাগ পোশাক কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন পোশাক শ্রমিকরা। পরে দুপুরে কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি পালন করেন। এরপর তাদের কারখানাগুলো সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। মূলত কয়েকটি পোশাক কারখানায় ম্যানেজমেন্টের কর্মকর্তারা আসেনি। এতে শ্রমিকদের দাবিগুলো নিয়ে কথা না বলতে পারার কারণেই শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। তবে কোথাও সড়কে কোনো বিশৃঙ্খলা করেনি শ্রমিকরা।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু দুপুরে ১৭টি পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ হা-মীম ও শারমিন নামে দুটি পোশাক কারখানায় ম্যানেজমেন্টের কোনো লোক আসেনি। এতে শ্রমিকরা নিজেদের দাবি নিয়ে কথা বলতে না পেরে কর্মবিরতি পালন করেন। পরে আশপাশের অন্তত ১৭টি পোশাক কারখানা আজকের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। তবে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। শ্রমিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে শিল্প পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও সেনাবাহিনীর একাধিক টিম টহলে রয়েছে বলে জানান তিনি।