গণভবনে শহীদ পরিবারের জন্য আবাসন প্রকল্প চান পার্থ
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছেন। পদত্যাগ করার আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছিল। এতে গত জুলাই-আগস্টে প্রাণ হারিয়েছেন বহু ছাত্র-জনতা। এসব শহীদের স্বরণে গণভবনে জাদুঘরের পাশাপাশি আবাসন প্রকল্প করে শহীদদের পরিবারকে বরাদ্দ দেয়ার জন্য প্রস্তাব করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। গতকাল সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে তিনি এ প্রস্তাব দেন।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনকে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। পার্থ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন-গণভবন যেহেতু ১৫ একরের বিশাল জায়গা নিয়ে বিস্তৃত সেহেতু গণভবনকে জাদুঘরের পাশাপাশি যদি আবাসন প্রকল্প করে শহীদদের পরিবারকে দেয়া হয়, আর আহতদের কিংবা গুরুতর আহতদের সুচিকিৎসার পাশাপাশি যদি যোগ্যতা অনুসারে সরকারি চাকরি দেয়া যায় তাহলে আমার ধারণা ওনাদের উপকার হতো। পার্থ লিখেন- ইতিহাস বলে যারা আত্মত্যাগ করে তাদের আমরা স্মরণ করি, কিন্তু মূল্যায়ন করার জায়গায় মনোযোগী হই না। ইমোশন ভালো তবে ইমোশনের সাথে পুনর্বাসন বেশি ভালো। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা টানা চার মেয়াদ ক্ষমতায় থাকাকালে গণভবনেই থাকতেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি সেখানেই ছিলেন। শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর সেদিন হাজার হাজার মানুষ গণভবনে ঢুকে পড়ে। অনেকে সেখানে ভাঙচুর ও লুটপাটও চালায়। অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তর করা হবে। সেখানে জুলাই গণহত্যার স্মৃতিসহ গত ১৬ বছরের গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গণঅভ্যুত্থানের ৩৬ দিনের ঘটনা, শহীদদের তালিকা, স্মৃতি এসব কিছুর একটি সামগ্রিক উপস্থাপনা থাকবে। পাশাপাশি কিছু ডিজিটাল উপস্থাপনা থাকবে। সেই জাদুঘর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।