বিডিআর বিদ্রোহ মামলা : কাজলসহ ১৭ স্পেশাল প্রসিকিউটরের নিয়োগ বাতিল। বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদর দফতর পিলখানায় ২০০৯ সালে বিদ্রোহের ঘটনায় করা মামলায় মোশাররফ হোসেন কাজলসহ ১৭ জন স্পেশাল প্রসিকিউটরের নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। গতকাল সোমবার আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মামলাটির বিচারে সহায়তার জন্য ওই ১৭ জনকে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।
৫ আগস্টের পর নিহত আর্মি অফিসারদের পরিবাররা বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার পুনঃতদন্ত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদও পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মুখ খোলেন। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করা ভিডিওতে তিনি সরকার থেকে তদন্ত আদালত করতে পারার বা সে সংক্রান্ত সাহায্য সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। মঈন ইউ আহমেদ বলেন, যখন আমি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তদন্তের আদেশ দিয়েছি, তখন আমাকে বলা হলো যে, সরকার যখন তদন্ত আদালত করছে তখন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই আদালতের প্রয়োজনটা কী?’
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনার চার বছর পর ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালতে হত্যা মামলাটির রায় হয়। এখনো পর্যন্ত এ মামলাটিতেই বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক আসামি। ৮৫০ জন বিডিআর সদস্যের বিচার হয় এ মামলাটিতে। এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ড হয় ১৫২ জনের। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয় ১৬০ জনকে। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয় ২৫৬ জনকে।