সুসংবাদ প্রতিদিন
বীরগঞ্জে আগাম জাতের গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি চাষ
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মো. সিদ্দিক হোসেন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর)
অল্প সময়ে অধিক লাভজনক গ্রীষ্মকালীন সবজি। আগাম ফুলকপি চাষ করে অনেক কৃষক ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছেন। আর আগাম এই ফুলকপির চাহিদা ও বাজার দুটোই ভালো থাকার কারণে এর চাষের পরিধি বাড়ছেই। এতে কৃষকও লাভবান হচ্ছে। বাজারে আসা ফুলকপি-বাঁধাকপি ব্যাপক চাহিদা থাকায় আশানুরূপ দামে বিক্রি হওয়ায় পুঁজির পাশাপাশি দ্বিগুণ লাভের আশা করেন কৃষক। তাই স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের পাল্টাপুর গ্রামের মো. আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. মমিনুল ইসলাম এক একর জমিতে আগাম জাতের গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি চাষ করলে পরিদর্শনে আসেন রংপুর কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার মো. শাহাদৎ হোসেন। পরিদর্শনকালে তিনি বলেন কৃষি খাত এখন বাণিজ্যিক খাতে পরিণত হয়েছে। কৃষকরা আগাম বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন অপরদিকে এলাকার চাহিদা পূরণ করে জেলার বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বীরগঞ্জ উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন আগাম ৫২ হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সব সময় তদারকি করা হচ্ছে। কোন সময় কি বালাইনাশক ব্যবহার করতে হবে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. হায়দার আলী, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. জিল্লুর রহমান, বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিক হোসেন। এক সাক্ষাৎকারে কৃষক মো. মমিনুল ইসলাম জানান এক একর জমিতে তিন জাতের ৫৬ হাজার ফুলকপির চারা রোপণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে তিনি ফুলকপি বিক্রি করা শুরু করেছেন। তার সর্বমোট খরচ হয়েছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা। এ টাকা তুলে তিনি ১০ লাখ টাকা লাভ করবেন বলে জানিয়েছেন। আগামীতে এর পরিধি আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস। সব সময় উপ-সহকারীরা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।