নির্বাচনের সময়ের যৌক্তিকতা বিবেচনা করবে সব স্টেকহোল্ডার : আমির খসরু
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন। গতকাল বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শামা ওবায়েদ এবং ডেপুটি হেড অব মিশন ক্লিনটন পোবকে ও প্রথম সচিব লারা অ্যাডামস।
বৈঠকে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম, দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষাসহ নানাবিষয় উঠে এসেছে। তবে আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় ও আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্যতার প্রসঙ্গটি। বৈঠক থেকে বেরিয়ে বিএনপির বিদেশবিষয়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, ‘বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা কী ভাবছি, অন্তর্বর্তী সরকার কেমন করছে, আগামীতে কী করবে, দেশের মানুষের কী প্রত্যাশা, আমাদের কী প্রত্যাশা; ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ, এ অঞ্চলে ভূরাজনীতি, রোহিঙ্গা, দুই দেশের সহায়তায় যে বিনিময়, দুই দেশের মধ্যে শিক্ষাসহ নানাবিষয় আলোচনায় এসেছে। বিশেষ করে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কবে নির্বাচন দিতে যাচ্ছে, নির্বাচনের জন্য কত সময় লাগতে পারে। নির্বাচনি কর্মকাণ্ডের জন্য কী কী পরিবর্তন দরকার, তা জানতে চেয়েছেন তারা। সেগুলো কীভাবে হচ্ছে, সার্বিকভাবে এগুলো আলোচনার পর তাদের ধারণা যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি এগিয়ে যাবে’, বলেন আমির খসরু।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘সময়ের ব্যাপারে তো, আমরা তো যৌক্তিক সময় বলেই যাচ্ছি। এখন সময়ের যৌক্তিকতার বিচার-বিবেচনা করার জন্য যারা যারা এখানে স্টেকহোল্ডার (অংশীজন) আছে, সবাই তো বিবেচনা করবে। এজন্য তো আমরা টাইমফ্রেম দিচ্ছি না। একটা সময় দিয়ে তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাচ্ছি না।’ আমরা চাই সরকার সফলভাবে তাদের কাজগুলো করুক। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব— যেমন নির্বাচন কমিশন চলে গেছে, নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজটা শুরু হতে হবে। আমি নিশ্চিত, তারা কাজটা দ্রুত করবে।’
‘কারণ’ হিসেবে আমির খসরু বলেন, ‘একদিকে ফায়ার ফাইটিং করতে হবে। অন্যদিকে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক যে সমস্যা হয়ে গেছে, এগুলো সমাধান করে নির্বাচনের কার্যক্রমের দিকে যেতে হবে।’ ‘সকলের একই প্রশ্ন, এই কাজগুলো কত তাড়াতাড়ি হবে, কতদিন লাগতে পারে এবং কবে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর করার সম্ভব হবে।’ বলেন আমির খসরু। ‘এ ব্যাপারে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি। সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি, দিয়ে যাব।’
বিএনপির সিনিয়র নেতা আমির খসরু বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশ সবাই মিলে করতে হবে। এটা কেউ করতে পারবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’