সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস
ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম মাসে নেয়া নানা উদ্যোগ ও আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের সঙ্গে। আলোকিত বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো...
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
আপনি প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর একমাস পূর্ণ হলো। গত কয়েক সপ্তাহে কোন কোন বিষয়কে আপনি অগ্রাধিকার দিয়েছেন?
ড. মুহাম্মদ ইউনূস : আমার তো অগ্রাধিকার দেয়ার কথা না। অগ্রাধিকারগুলো সামনে এসে গেছে। আমি বাছাই করার সুযোগও পাইনি। শান্তি-শৃঙ্খলা হলো সবার প্রথমে। যেহেতু বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা আসছি, সরকার গঠন করেছি, কাজেই প্রথম দায়িত্ব হলো শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। এটার উপরেই জোর দেয়া হচ্ছে। এরকম বিপ্লব বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে হয়নি। ছাত্রদের সঙ্গে সাধারণ জনগণ এগিয়ে এসেছে। এমন কোনো লোক ছিল না যে, এটাতে শরিক মনে করেননি। জনমত নির্বিশেষে এই আন্দোলনে শরিক হয়েছে। আমরা একটা বিরাট দায়িত্ব নিয়ে আসছি। একদিকে হলো বিপ্লব আরেকদিকে স্বপ্ন। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ব। মানুষের সীমাহীন আকাঙ্ক্ষা। আমাদের দায়িত্ব অনেক। অর্থনীতিতো একটা বিশৃঙ্খলা এবং ভঙ্গুর হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে মানুষ এত বিক্ষুব্ধ। সব কিছু লুটপাট। এটা লুটের একটা সরকার ছিল। কাজেই সেই লুটের সরকার থেকে সত্যিকার সরকার, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা- এটাও মানুষের একটা আকাঙ্ক্ষা এবং এটা দ্রুত দেখতে চায়। সেগুলো আমাদের করার চেষ্টা। এক মাসের মধ্যে আমাদের যতটুকু সম্ভব করেছি।
রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি সংবিধান পুনর্লিখনের দাবিও উঠেছে। বলা হচ্ছে, সংবিধান পুনর্লিখন ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন?
এটা মস্ত বড় সুযোগ। এই সুযোগ জাতির জীবনে আর আসবে কি না জানি না। না আসাটাই স্বাভাবিক। গোড়াতে হাত দিতে হবে, সংবিধানে হাত দিতে হবে। তো সেখানে প্রশ্ন হচ্ছে, সংবিধান নতুন করে লিখতে হবে, না কি এই সংবিধানই কিছু সংশোধন করা হবে? এ বিষয়ে মতভেদ আছে। এজন্য কমিশন হবে, বিচার বিবেচনা করবে, একমত হবে। এর উপর ভিত্তি করে নির্বাচন হবে। এটা না হওয়া পর্যন্ত তো আমরা নির্বাচনের রূপরেখা ঠিক করতে পারছি না। কী ধরনের নির্বাচন হবে, কী কী নির্বাচন হবে, সবকিছুই সংবিধানের ভেতরে থাকবে। পুরো আন্দোলনের ব্র্যান্ড নেম হচ্ছে সংস্কার। সংস্কার হচ্ছে আকাঙ্ক্ষা। আমরা সেই আকাঙ্ক্ষার অংশীদার। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি যেন আমরা সেই আকাঙ্ক্ষা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পূরণ করতে পারি। বাংলাদেশের অর্থনীতি গত কয়েকবছর ধরেই নানা রকম সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ডলার সংকট, ঋণের নামে ব্যাংক লুটপাট আর বিদেশে অর্থ পাচার এ সংকটকে তীব্র করেছে বলে বিশেষজ্ঞদের মতামত।
সাম্প্রতিক সময়ে শ্রমিক অসন্তোষসহ নানা আন্দোলনেও রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যবসা এবং অর্থনীতিকে পুনরায় সন্তোষজনক অবস্থানে ফিরিয়ে নেয়ার পথে কী কী বাধা দেখছেন?
লুটপাটের একটা অর্থনীতি ছিল। তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল নিজের টাকা-পয়সা করার আগ্রহ। ৬০ হাজার কোটি টাকা শুধু ছাপানো হয়েছে তাদের সুবিধার জন্য। কিন্তু মানুষের যে মূল্যস্ফীতি হবে, এটার দিকে তাদের কোনো মনোযোগ ছিল না। ব্যাংকিং সিস্টেম পুরোটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলতে কোনো জিনিস ছিল না। এগুলো সমস্ত কিছু নতুন করে গড়ে তুলতে হচ্ছে। সব কিছু নতুন করে করতে হচ্ছে। দেশকে বাঁচাতে হলে, সামনে নিয়ে যেতে হলে করতে হবে। আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য ভিত্তিটা করতে হবে। কিছুটা শৃঙ্খলা এসেছে। সবটা পেরে উঠেছি তা না। বৈদেশিক মুদ্রার অভাব আছে। বড় বড় প্রকল্প নেয়া হয়েছে। বিশাল বিশাল অঙ্কের ঋণ নেয়া হয়েছে, সেগুলো শোধ করার পালা এসেছে আমাদের উপরে। ওনারা নিয়ে গেছেন, ভোগ দখল করেছেন। এখন টাকাটা জনগণকে শোধ করতে হবে। সেই পরিশোধের টাকা কোথা থেকে আসবে, কীভাবে আসবে এই চিন্তা আমাদের বড় চিন্তা। আমরা পৃথিবীর সামনে এমন একটা রাষ্ট্র হতে চাই না যে, তার অঙ্গীকার রক্ষা করতে পারে না। আমরা অঙ্গীকার রক্ষা করতে চাই। অর্থনীতিকে মজবুত ভিত্তির উপরে দাঁড় করাতে চাই, যেন ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি না হয়। ছাত্রদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সুশাসনের বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে নাগরিক অধিকার, মানুষের নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার, পুলিশের সেবা পাওয়ার অধিকার এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত করা যায়নি বলে নানা মহল থেকে দাবি করা হয়েছে।
এই বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
চেষ্টা করছি আমরা, কিন্তু পুরোপুরি হয়নি। অনেক লোক পালিয়ে গেছে, যারা জনপ্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছিল। অথবা যারা আছে, তাদের সহকর্মীরা তাদের উপর ভয়ানক বিক্ষুব্ধ। বিক্ষোভের মুখে তারা পদত্যাগ করে চলে গেছেন। কাজেই এক বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। জনপ্রশাসনে এই শূন্যতা পূরণ আবার মুশকিল। এরে দিলেন ওরে কেন দিলেন না ইত্যাদি ইত্যাদি প্রশ্ন উঠছে। তো এর মধ্য থেকেই আমরা মানুষকে বোঝাচ্ছি, দেখো, আমাদের বিবেচনায় যেটা সঠিক সেটাই আমরা করছি। আমদের উপর আস্থা রাখুন। বহু পরিবর্তন হয়েছে। প্রধান বিচারপতি নিয়োগ হয়েছে। সব ভিসিই চলে গেছেন। ভিসি নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, সাথে প্রোভিসি দিতে হচ্ছে। এবং এই নিয়োগে সবাই খুশি। আবার নতুন করে বিচার ব্যবস্থা চালু হবে। অনেকগুলো পরিবর্তন আমাদের এক সঙ্গে করতে হচ্ছে। অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালে এক হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচারে আপনার সরকারের তরফ থেকে এখন অবধি নেয়া পদক্ষেপে আপনি কি সন্তুষ্ট?
না, এখনো সন্তুষ্ট হওয়ার সময় আসেনি। আমাদের প্রথম দৃষ্টি হচ্ছে তালিকা করা, যেটার কথা আপনি বললেন। আমরা প্রত্যেকের তথ্য নিয়ে ড্যাটাবেজ তৈরি করছি। আমাদের ভয় হলো, আমরা যদি এটা না করি কিছুদিনের মধ্যে ভুয়া শহীদ ইত্যাদি শুরু হয়ে যাবে। কাজেই এটা থেকে আমরা বাঁচতে চাই। আমরা ওয়াদা করেছি, প্রত্যেকটা শহীদ পরিবারের দায়িত্ব আমরা গ্রহণ করব। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা গ্রহণ করব। কাজেই এটার সংখ্যা নির্দিষ্ট হয়ে যেতে হবে। যেন এক বছর পরে কেউ এসে না বলতে পারে যে, আমার পরিবার শহীদের পরিবার। আমরা খুঁজে খুঁজে বের করছি। আমরা একটা ফাউন্ডেশন করেছি। একটা স্থায়ী ফাউন্ডেশন তাদের পরিবারকে দেখাশোনা করার জন্য। যারা বেঁচে আছে তাদের মিলিয়ে আমরা কর্মসূচি নিচ্ছি। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা গত কয়েক দশকে বিভিন্ন সরকারের সময় বেশ কয়েকবার শোনা গেছে। সর্বশেষ শেখ হাসিনা সরকারের পতনের সময়ও এ ধরনের হামলা ঘটেছে বলে জানিয়েছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও হিন্দু মহাজোট নামে দুটো সংগঠন।
সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধের দাবিতে রাজপথে নানা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিও দেখা গেছে গত কয়েক সপ্তাহে। এক্ষেত্রে স্থায়ী সমাধান কী হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
এটা বাংলাদেশের একক সমস্যা নয়। সব দেশেই সংখ্যালঘু নিয়ে সমস্যা হয়। অ্যামেরিকাতেও সংখ্যালঘু নিয়ে সমস্যা আছে। সরকারের দায়িত্ব এটা না হওয়া। সংবিধানের অধিকার সবার প্রাপ্য। আমরা তো হিন্দুর প্রাপ্য, মুসলমানের প্রাপ্য কি বৌদ্ধর প্রাপ্য এ রকম করে ভাগ করে দিইনি। সরকারের দায়িত্ব হলো এই অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করা। এই অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা হলেই আর ধর্মীয় বিভাজনের প্রশ্ন উঠবে না। যতদিন প্রতিষ্ঠিত না হচ্ছে, ততদিন আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে। তবে আমি বলব যে, যেই পরিমাণ প্রচার হচ্ছে সেই পরিমাণ আমাদের দৃষ্টিতে আসছে না। আমরা বার বার খোঁজখবর নিচ্ছি। কিন্তু মনে হচ্ছে না যে, অত বড় কিছু আসলে হচ্ছে। অনেকে এটা রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করছে। যেটুকু হচ্ছে সেটা যেন না হয়, শূন্যের কোঠায় পৌঁছায় সেদিকে আমরা যাব।
ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী এবং দুটো দেশ নানাভাবে একে অপরের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু ‘ভারতের শক্তিশালী মিত্র’ হিসেবে পরিচিত শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে এক ধরনের টানাপড়েন দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি কোন বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিচ্ছেন?
ভারতকে আমাদের একমাত্র প্রতিবেশী বলা যায়। কারণ, চারিদিক থেকেই ভারত আমাদের আছে। কাজেই তার সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক হওয়া উচিত এবং হবে। এছাড়া আমাদের গত্যন্তর নেই, তাদেরও গত্যন্তর নেই। দুই দেশের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক রেখে কেউ লাভবান হবে না। আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা হবে সবচেয়ে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। বন্ধুত্বের শীর্ষ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া, এটাই আমাদের উদ্যোগ। পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক আইন আছে। দুই দেশের মধ্যকার চলমান বিরোধ নিরসনে দুই দেশ আন্তর্জাতিক আইন মেনে নিলেই সেটার সমাধান হবে। সার্ক একটা পরিবারের মতো ছিল। আমরা সেই কাঠামোতে ফিরে যেতে পারি কি না দেখব। শুধু ভারতের সঙ্গে নয়, দক্ষিণ এশিয়ায় যত দেশ আছে সবাই যেন পরস্পরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজার রাখে। শান্তিপূর্ণ জোন হিসেবে আমরা এটিকে গড়তে চাই। বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে সার্ক ও বিমসটেককে সক্রিয় করার চেষ্টা করব। বিগত সরকারের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনেক ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগপন্থিদের প্রাধান্য দেয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল।
আপনার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর অনেক পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। পাশাপাশি এই অভিযোগটিও উঠতে শুরু করেছে যে, কিছু পদে নতুন যাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, সেখানে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয়ে পরিচিতরা প্রাধান্য পাচ্ছেন। এ ব্যাপারে আপনার মূল্যায়ন কী?
এটা উল্টোভাবে দেখতে পারেন। যেহেতু উনি সিভিল সার্ভিসে আছেন, উনি একটা পোস্টিং পাবেন। দল ছাড়া কেউ কিছু এখানে করতে পারত না। আমাদের চেষ্টা করতে হবে দল যেন না আসে। এ দলেও নাই, ওই দলেও নাই এমন কাউকে বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এমনভাবে চলতে হবে যেন দলটা যেন ভারি না হয়ে যায়। আমাদের যেহেতু নিজেদের দল নেই, আমরা নির্দলীয়ভাবে দেখতে পারি।
বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন কবে নাগাদ অনুষ্ঠিত হতে পারে? সেই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আপনি কতটা আশাবাদী?
আমি পুরোপুরি আশাবাদী। এটা না হলে তো এ সরকারের অর্থই হবে না। নির্বাচন করতে হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো নির্বাচন হিসেবে যেন গৃহীত হয়। তাহলে মনে করব যে, আমাদের এই সময়টা সার্থক হয়েছে। সেটার জন্য পরিবেশ সৃষ্টি লাগে, আইন লাগে। সংবিধান হলে নির্বাচনি আইন, নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। তাদের মতামত পাব। এই সরকারের বড় জিনিস হলো সংস্কার। এই সংস্কারটা সম্পন্ন করতে হবে। এই সুযোগ আর জীবনে ফিরে আসবে না। আমাদের সব কিছু কলাপ্স করে গেল- এমন যেন না হয়। হঠাৎ করেই সবকিছু জিরোতে গিয়ে পৌঁছাবে না। পুরোনো বাংলাদেশ ইতি। এটা নতুন বাংলাদেশ, আমরা নতুন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে জেগে উঠব।
সূত্র : ডয়চে ভেলে।