সাবেক আইজিপি মামুন আরো চার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীতে পৃথক চার হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে। বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলন চলাকালে মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানদার আবু সায়েদ হত্যা মামলায় আট দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আজ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে ভাটারা থানা এলাকায় সোহাগ মিয়া ও আব্দুল হান্নান নিহতের ঘটনায় পৃথক দুই মামলা এবং খিলগাঁও থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় সাবেক এই পুলিশ প্রধানকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন পুলিশ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে খিলগাঁও থানার দুই মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান ও ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম ভাটারা থানার দুই মামলায় তকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে মামুনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরের দিন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলন চলাকালে মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানদার আবু সায়েদ হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তদন্ত কর্মকর্তারা। অপরদিকে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আকতারুজ্জামান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে গত ১৯ জুলাই বিকাল ৪টার দিকে মোহাম্মদপুর থানার বছিলায় ৪০ ফিট চৌরাস্তায় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ নিহত হন।
এ ঘটনায় ১৩ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এস এম আমীর হামজা নামে এক ব্যক্তি মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে। এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দেয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ ও যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।