ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

রাণীনগরে কৃষকের স্বপ্নের রোপা-আমন ধান

রাণীনগরে কৃষকের স্বপ্নের রোপা-আমন ধান

ধান চালের ভাণ্ডার খ্যাত বাংলাদেশের পরিচিত জেলা নওগাঁ জেলা। জেলার রাণীনগর উপজেলার প্রন্তিক কৃষকদের স্বপ্নের রোপা-আমন ধানের সবুজে সবজু বতাসে দোল খাচ্ছে। এরই মধ্যে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে রোপা আমন ধান রোপন শেষ পর্যায়ে। অতি বৃষ্টিপাত আর বৈরি আবহাওয়ার করণে কৃষকদের ধান লাগানো বিলম্ব হলেও এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধান লাগানো হয়েছে বলে যানিয়েছেন কৃষি বিভাগ। নিচু জমি থেকে পানি নেমে যাওয়ার কারণে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে আতব জাতের ধান লাগিয়েছেন কৃষকরা। উপজেলার প্রতিটি জমিতে রোপা-আমন ধান বাতাসে দোল খাচ্ছে। মাঠে মাঠে যতদূর চোখ যায় সবুজ আর সবুজ। ধানের রোগবালাই মুক্ত রাখতে কীটনাশক ব্যাবহারে কৃষকদের প্রতি সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিচ্ছে বলে যানিয়েছেন কৃষি বিভাগ জানা যায় উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চলতি রোপা আমন মৌসুমে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ধান রোপন করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৮হাজার হেক্টর। মাঠের নিম্না অঞ্চলে পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় কৃষকরা আতব জাতের ধান লাগিয়েছেন। আগে লাগানো ধানগুলোতে প্রযোজনীয় সেচ দেয়ার জন্য গভীর-অগভীর নলকূপ চালু করা হয়েছে। জমিতে গভির নলকুপ থেকে পানি কিনে নিয়ে সেচ দেয়ার সুযোগ পেলেও ধান উৎপাদনের খরচ বৃদ্ধির পাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে কৃষকরা। পাশাপাশি আতঙ্ক রয়েছে নতুন করে বন্যার অশঙ্কা। চলতি রোপা আমন ধানের মৌসুমে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বীজ প্রদান করা হয়। হরিশপুর গ্রামের চাষি নূর ইসলাম আব্দুল হামিদ, জাহাঙ্গীর আলম ও মোবারক হোসেনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শে বীজ তলা তৈরি করে কিছুটা আগে ভাগেই ধান লাগিয়েছি। আমাদের ধানগুলো অনেক ভালো হয়েছে। শেষ মুহূর্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আশাকরি ভালো ফলন পাবো। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফারজানা হক জানান, আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার আশা করি লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হবে। এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ে জমির শ্রেণি ভেদে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে ধান লাগানো শেষ হয়েছে। নিচু এলাকার পানি নেমে যাওয়ার কারণে কৃষকরা নতুন করে আতব জাতের ধান লাগিয়েছেন। ভালো ফলনের জন্য কৃষকদের প্রতিনিয়ত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। অনেক কৃষক ভালো বীজ নেয়ার জন্য অফিসে আসেছিল তাদেরকে ভালো মানের বীজ বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা ভালো ফলন পাবে বলে জানিয়েছেন এই কৃষিবিদ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত