স্পেসএক্সের পোলারিস ডন মিশন একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করেছে। গত বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক স্পেসওয়াক পরিচালনা করেছে মহাকাশ সংস্থাটি। চারজনের এই মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৪১ বছর বয়সি বিলিয়নিয়ার জ্যারেড আইজ্যাকম্যান। ইলেকট্রনিক পেমেন্ট কোম্পানি ‘শিফট৪ ’-এর প্রতিষ্ঠাতা তিনি। পুরো অভিযাত্রা তার অর্থায়নেই হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালে স্পেসএক্স-এর সঙ্গে যৌথভাবে ‘ইনস্পিরেশন৪’ মিশনেও অর্থায়ন করেছিলেন তিনি। নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, নিউইয়র্কের সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা ১২ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ১২ মিনিট) স্পেসওয়াক শুরু হয়। এ সময় একটি উপবৃত্তকার কক্ষপথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণরত একটি ক্যাপসুল থেকে বেরিয়ে আসেন বিলিয়নিয়ার আইজ্যাকম্যান এবং স্পেসএক্স প্রকৌশলী সারাহ গিলিস। অভিযানে অংশ নেওয়া অন্য দুজন ক্যাপসুলের ভেতরেই ছিলেন। আইজ্যাকম্যান এবং গিলিস যখন ক্যাপসুল থেকে মুক্ত আকাশে মাথা বের করেন তখন তারা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭০০ কিলোমিটার উপরে ছিলেন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে অভিযাত্রীদের বহন করা ক্যাপসুলটি নিয়ে মহাকাশের দিকে যাত্রা করেছিল স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেট। মিশন সফল করার পর এবার পৃথিবীর দিকে যাত্রা শুরু করবেন চার অভিযাত্রী।
এবারই প্রথমবারের মতো বেসরকারিভাবে স্পেসওয়াক সংঘটিত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই অভিযান এর আগে সব সময় সরকারিভাবে প্রশিক্ষিত নভোচারীরা পরিচালনা করেছেন। এই মিশন বাণিজ্যিক মহাকাশ শিল্পে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
এবারের মিশনে পৃথিবীর বাইরে সম্ভাব্য বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত স্পেস সুট এবং অন্যান্য প্রযুক্তির ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। মিশনের প্রাণভোমরা আইজ্যাকম্যান মনে করেন, ভবিষ্যতে যারা মঙ্গলে যাবে তারা তাদের মিশনের সময় পরীক্ষা করা স্পেস সুটগুলো থেকে উপকৃত হতে পারে।
সামগ্রিকভাবে পোলারিস ডন মিশনের স্পেসওয়াক শুধুমাত্র বাণিজ্যিক মহাকাশ ক্ষমতাকেই বাড়ায়নি, ভবিষ্যতের মহাকাশ কার্যক্রম এবং মহাকাশ অনুসন্ধান প্রযুক্তিতে অগ্রগতির পথও প্রশস্ত করেছে।