শেখ হাসিনা
আদৌ পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতিকে জমা দিয়েছেন : প্রশ্ন ফরহাদ মজহারের
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। কিন্তু তিনি পদত্যাগপত্র আদৌ তা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছেন কি না- এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের বিশিষ্ট কবি ও বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার। সম্প্রতি ঢাকা কলেজের শহীদ আ ন ম নজীব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে ‘অভ্যুত্থান পরবর্তী কেমন বাংলাদেশ চাই?’ শীর্ষক মতবিনিময়ে এ প্রশ্ন তোলেন তিনি। ফরহাদ মজহার বলেন, ফ্যাসিস্ট নিজেকে সংবিধানের মধ্যে হাজির রেখেছে। এই রাষ্ট্রটাও শেখ হাসিনার সংবিধানের মধ্যে হাজির হলো। গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নিয়েছে।
তিনি বলেন, এখনো তো তার ছেলে (সজীব ওয়াজেদ জয়) বলেছেন- শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী! আপনারা কেউ শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র দেখেছেন? তিনি বলেন, যারা ক্ষমতায় তারা কাগজটা দেখাক না, কোথায় পদত্যাগ করেছেন। চিন্তা করে দেখুন ষড়যন্ত্র কতদূর! যেকোনো মুহূর্তে একটি স্বাক্ষরের দ্বারা এ সরকার বাতিল হয়ে যেতে পারে। উনি (বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন) কিন্তু প্রেসিডেন্ট এবং বাকিরা কিন্তু তার উপদেষ্টা। তরুণদের রাজনীতি শিখতে ও বুঝতে হবে মন্তব্য করে এ রাষ্ট্রচিন্তক বলেন, জনগণ যখন উত্থিত হয় তখন তাকে গণতন্ত্র বলে। গণতন্ত্রের আইন পরিভাষা জনগণের অভিব্যক্তি। আমাদের বিভিন্ন দোষ আছে সেগুলো কাটাতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে রাষ্ট্র ও সরকার এক নয়। বিগত সময়ে পুলিশ সরকারের ছিল, রাষ্ট্রের নয়। রাষ্ট্র গঠন করতে হবে আগে। ‘আমরা এখনো রাষ্ট্র গঠন করতে পারিনি।
১৯৭২ সালের সংবিধান পাকিস্তানের সংবিধান, আইনের ভাষায়। এই সংবিধানকে যখন ছুড়ে ফেলে দিতে হবে, তখন আপনারা বসে আছেন। এখন আমাদের প্রধান কাজ হওয়া দরকার ছিল সংবিধান সংস্কার।’ ফরহাদ মজহার বলেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী কেমন বাংলাদেশ চাই- সেটা আমাদের ওপর নির্ভর করবে। আমরা কেমন! আমরা যখন গণঅভ্যুত্থান করেছি, তখন কিন্তু আমাদের ভাবতে হয়েছে, পরিকল্পনা করতে হয়েছে, লক্ষ্য নিবিষ্ট রাখতে হয়েছে। শত্রু চোখের প্রতি সচেতন থাকতে হয়েছে। যার ফলে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আগামী দিনে আমরা কেমন বাংলাদেশ চাই, আমরা কোথায় যেতে চাই সেটি করতে পারলে আমরা লক্ষ্য পূরণে দ্রুত অগ্রসর হবো। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন কবি ও সাহিত্যিক আব্দুল হাই শিকদার, ডেইলি স্টারের বাংলা বিভাগের প্রধান ইমরান মাহফুজ, হিউম্যান রাইট অ্যাকটিভিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহ প্রমুখ।