বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেছেন, ‘রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এখনো চলমান রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের কর্মীরা চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এমন তথ্য পেয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এখনই এসব বন্ধ করতে হবে, না করলে ছাত্রসমাজ আবারো একত্রিত হয়ে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের প্রতিহত করবে।’ গতকাল দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ‘গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায়’ এসব কথা বলেন তিনি। ছাত্রসমাজকে প্রতিপক্ষ ভাবলে জনগণ ওসব রাজনৈতিক দলকে প্রত্যাখ্যান করবে উল্লেখ করে মাহিন সরকার বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে যে কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মীদের আসার অধিকার আছে। তারা এসে শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের মতামত দিতে পারেন। কিন্তু শহীদ ও আহত পরিবারের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জেলায় দেখা এবং সভা করতে গেলে আমাদের বাধা দেয়া হচ্ছে। একটি রাজনৈতিক দল এসব করছে, এসব করতে থাকলে দেশের জনগণ তাদের ছুড়ে ফেলতে একটুও ভাববে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘রাষ্ট্রের কাঠামো সঠিকভাবে পুনর্গঠন করতে না পারলে বিপ্লবের ইতিহাস দখল করে নেবে রাজনৈতিক দল। এরইমধ্যে একটি দল তাদের সঙ্গে আপস করার জন্য বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে আমাদের। সেইসঙ্গে আমাদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে তারা। আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই, ছাত্রসমাজ কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেনি এবং করবে না।’ সভায় অন্যদের মধ্যে রাজশাহী বিভাগীয় ছাত্র নাগরিক মৈত্রী সফরের সদস্য কুররাতুল আইন কানিজ, সাইফুল ইসলাম, ইফতেখার আলম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শেখ ফাহমিনের মা লুলুল মাখমিনসহ আহত-নিহতদের পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন নওগাঁয় নিহত ১১ ও আহত ২৩ জনের পরিবারের সদস্য, জেলা-উপজেলার সমন্বয়ক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।