ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যাত্রী কল্যাণ সমিতি

আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬

আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬

আগস্ট মাসে দেশে ৪৬৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জন নিহত ও ৯৮৫ জন আহত হয়েছেন। এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। ১১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২১ জন নিহত ও ২৬১ জন আহত হয়েছে, সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে, ২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করে। আগস্ট মাসে রেলপথে ১০টি দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত, দুইজন আহত হয়েছেন। নৌপথে ১৩টি দুর্ঘটনায় ৫০ জন নিহত, দুইজন আহত এবং ৯ জন নিখোঁজ রয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৪৯০টি দুর্ঘটনায় ৫৩৪ জন নিহত এবং ৯৮৯ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে ১৯৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৬ জন নিহত, ২০১ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৪১.৩২ শতাংশ, নিহতের ৪৩.২৭ শতাংশ ও আহতের ২০.৪০ শতাংশ। এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৭৪৫টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ৩১.৬৭ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২১.২০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১০.৩৩ শতাংশ বাস, ১৪.৩৬ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৮.৪৫ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৭.৭৮ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.১৭ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, আগস্ট মাসের মোট দুর্ঘটনার ৩৩.৮৩ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২০.৭৭ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৯.১৮ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪.৪৯ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে ও ১.২৮ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ০.৪২ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আগস্ট মাসে সড়ক দুর্ঘটনার কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছে তা হলো- ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের অনুপস্থিতির সুযোগে আইন লঙ্ঘন করে যানবাহনের অবাধ চলাচল, সড়কের মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি, মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন, অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো ইত্যাদি।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে কিছু সুপারিশ করেছে সংগঠনটি- জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা। জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা। দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান। ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা।

সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা।

মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা। সড়ক পরিবহন আইন যথাযথভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা। উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত