সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ নিয়ে চতুর্থ দফায় তাদের রিমান্ডে নেয়া হলো। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুর রহমান তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে রিমান্ড শুনানির জন্য সকালে আওয়ামী লীগের এই দুই নেতাকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। এরপর তাদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চান আসামিপক্ষ। আর রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুর রহমান তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। আন্দোলনে গুলি করে শত শত মানুষ হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয় আওয়ামী লীগের নেতা, সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের।
এরইমধ্যে দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে কয়েকশ’ মামলা হয়েছে, যার বেশিরভাগই হত্যা মামলা। ক্ষমতা হারানোর পর শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যাওয়ার পর আত্মগোপনে যান দলটির সব নেতা।
তাদের কেউ কেউ বিদেশে পালিয়ে যান। আর যারা দেশে রয়েছেন তারাও গাঢাকা দেন। এরইমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী মন্ত্রী-উপদেষ্টা ও বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের দফায় দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত ১৩ আগস্ট নৌপথে পালানোর সময় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গ্রেফতার করা হয়। এরপর একাধিক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তিন দফা রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গতকাল আদালতে হাজির করে আরো তিন মামলায় সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এর মধ্যে বাড্ডা থানার দুটি এবং খিলগাঁও থানার একটি হত্যা মামলা রয়েছে। একইদিন আদালতে নেয়া হলে আনিসুল হককেও তিন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।