ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ২২ কারখানা ছাড়া বাকি সব খোলা

আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ২২ কারখানা ছাড়া বাকি সব খোলা

ঢাকার আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষের ফলে সৃষ্ট অস্থিরতা কাটিয়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে এসেছে। টানা দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা শ্রমিক আন্দোলনের পর, গতকাল বৃহস্পতিবার ২২টি কারখানা ছাড়া শিল্পাঞ্চলের বাকি সব কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম জানান, ‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। হামীম, শারমীনসহ অন্যান্য কারখানাগুলোতে কর্মচারীরা কাজ করছেন।’ তিনি আরো জানান, ‘এছাড়া, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩(১) ধারায় ১৬টি এবং ৬টি কারখানায় সাধারণ ছুটি রয়েছে।’ অন্যদিকে, বর্তমানে বন্ধ থাকা কারখানাগুলোর মধ্যে রয়েছে মেডলার, সেতারা, ব্যান্ডো অ্যাপারেলস, রেডিয়্যান্স ফ্যাশন, রেডিয়্যান্স জিন্স, কমফিট কম্পোজিট লিমিটেড, টেক ম্যাক্স, শিন শিন অ্যাপারেলস এবং পার্ল গার্মেন্টস। এসব কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে কাজ বন্ধ রেখেছেন। শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, অবস্থা উন্নত হওয়ায় এই মুহূর্তে কারখানা বন্ধ রেখে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। শ্রমিকরা কারখানায় ফিরে যেতে আগ্রহী এবং সমস্যা সমাধানে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চাইছেন। বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, ‘যেহেতু পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে, অধিকাংশ কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন যেসব কারখানা বন্ধ রয়েছে, মালিকপক্ষের প্রতি অনুরোধ করছি তারা দ্রুত কারখানা খুলে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করুন।’ বিজিএমইএ সূত্র জানায়, আশুলিয়ায় আজ ২০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩(১) ধারায় ১২টি এবং স্ববেতনে ছুটির আওতায় বা শ্রমিকরা চলে গেছে এমন ৮টি কারখানা রয়েছে। এই অবস্থার মধ্যে, আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কারখানার সামনে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন এবং যৌথ বাহিনীর টহল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করতে ফিরে আসার পর, শিল্প পুলিশ কর্তৃপক্ষ মালিকপক্ষ এবং বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। শ্রমিকদের মনোবল বাড়াতে এবং উৎপাদন কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই পরিস্থিতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে, এবং কারখানার মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা, শ্রমিকদের দাবি মেটানো এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। শ্রমিকদের দাবির প্রতি সাড়া দেয়ার পাশাপাশি, মালিকপক্ষ এবং প্রশাসন যৌথভাবে কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করতে চেষ্টা করছে, যা আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলের জন্য দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে। উল্লেখ্য, আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর আওতাধীন এলাকায় মোট ১৮৬৩টি কলকারখানা রয়েছে, যার বেশিরভাগই পোশাক কারখানা। শ্রমিক অসন্তোষের কারণে সাময়িক অস্থিরতা সত্ত্বেও, অধিকাংশ কারখানার স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে, যা শিল্পাঞ্চলের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবর্তন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত