সুসংবাদ প্রতিদিন
সবুজ শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আব্দুল কাফি সরকার, গাইবান্ধা
গাইবান্ধার দিগন্তজুড়ে নজর কাড়ছে রোপা-আমন ক্ষেত। কৃষকের স্বপ্নের এ ক্ষেত এখন গাঢ় সবুজের সমাহার। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়ার আশা করছেন কৃষকরা।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে জেলার বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে দেখা গেছে- রোপা-আমন ধানের মাঠ এখন সবুজে পরিণত হয়েছে। কৃষকরা এরই মধ্যে আগাছা পরিচর্যা শেষ করে সার-কীটনাশক প্রয়োগ করছেন এই ক্ষেতে।
গাইবান্ধার অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এ জেলার শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ পরিবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষি ফসল ঘরে তুলে তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে চেষ্টা করেন। এসবের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ফসল হচ্ছে রোপা-আমন ধান। এরই ধারাবাহিকতায় বন্যাসহ নানা প্রতিকূল পেরিয়ে এবার সাতটি উপজেলায় প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। অধিকাংশ কৃষক বাড়তি খরচে সেচ দিয়ে রোপণ করেছেন এই ধানচারা। এবার অধিক ফলনের আশায় এরই মধ্যে সার-কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। এরই মধ্যে ধানের ক্ষেতগুলো সবুজ রঙ ধারণ করেছে। কোন কোন ক্ষেতে থোর দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বর্তমানে বেশ কিছু মাঠে পোকাণ্ডমাকড়ের আক্রমণসহ পাতা ব্লাস্ট বা খোল পঁচা রোগেও দেখা দিয়েছে। ফুলছড়ির কৃষক আজিম উদ্দিন বলেন, এবার কয়েক দাফায় বন্যা হয়েছে। এতে বীজতলা নষ্ট হয়। এ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে উঁচু এলাকা থেকে অধিক দামে ধানচারা ক্রয় করে তা রোপণ করা হয়। এরপর খড়ার কবলে পড়ে সেচ দিতে হয়েছে। এদিকে ধানক্ষেতে কিছু পোকার আক্রমণ দেখা গেছে। এসব পোকা দমনে কীটনাশক প্রয়োগ করেও কাজ হচ্ছে না। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কোনো কর্মকর্তাকে তেমন মাঠ পর্যায়ে দেখা যায় না। তারা যদি কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দিতেন তাহলে অধিক ফলন উৎপাদন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন ধাপেরহাটের কৃষক ফজলার রহমান। সদরের কৃষক মেনজাহ আলী জানান, গেল বন্যায় ক্ষতি পূষিয়ে নিতে চলতি রোপা-আমন মৌসুমে সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে এই ধানের আবাদ করেছেন। অগ্নিমূল্যে চারা-শ্রমিক-সার-কীটনাশক কিনে এখন ভালো ফলন ও ন্যায্য দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ছেন। গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, চলতি মৌসুমে আমন ধান চাষাবাদে কৃষকরা যাতে করে ভালো ফলন ঘরে উঠাতে পারেম, সে ব্যাপারে সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া বেশ কিছু কৃষককে প্রণোদনাও দেয়া হয়েছে।