বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এই সরকারকে একটি ভালো নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে হবে। সেই উদ্যোগের সঙ্গে দেশবাসী এ সরকারের সাথে থাকবে। ভালো নির্বাচনের মধ্যদিয়ে এদেশের মানুষ তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের উদ্যোগে গণহত্যাকারী হাসিনার পতন আন্দোলনে আহত ও শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পতন আন্দোলনে এখনো অনেক ভাই ও বোন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আছেন। সরকার তাদের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তাদের দ্রুত সহযোগিতা করার তাগিদ দিতে চাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৫০ বছরের ওপরে। অনেকেই বলে দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে ৫ আগস্ট। আওয়ামী লীগ সরকার এতটাই নির্মম, স্বৈরাচার ছিল যে মানুষ স্বাধীনতাটা ভুলে গিয়েছিল। মানুষের কোনো অধিকার ছিল না। মানুষ তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে সে অধিকার হারিয়ে ফেলেছিল। এই আওয়ামী লীগ সীমাহীন লুটপাট করেছে। একটা দলের নেতাকর্মী দলের প্রধানের পরিবার দেশের প্রতিটি সেক্টর থেকে লুটপাট করে বিদেশে অর্থপাচার করেছে। এটা ভাবা যায়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার যে লুটপাট করেছে তার নেতাকর্মীদের কাছে লাখ লাখ অস্ত্র দিয়েছে। সেই অস্ত্র বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হেফাজতে নিতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি ও দেশবাসীর প্রত্যাশা এই সরকার একটি ভালো নির্বাচন দেবে। একটি ভালো নির্বাচনের জন্য, দেশবাসীর ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিএনপি আগাগোড়া এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে থাকবে।
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন যেন এই সরকার নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে, ভালো নির্বাচন দিতে পারে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকারকে একটি ভালো নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে হবে। সেই উদ্যোগের সঙ্গে দেশবাসী এ সরকারের সাথে থাকবে। ভালো নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই দেশের মানুষ তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে। সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, মাইনুল ইসলাম, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, কৃষক দলনেতা সাদি, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।