সুসংবাদ প্রতিদিন
বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সারি সারি সবজির চারা
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আজাহার আলী, বগুড়া
ভালো দাম পাওয়ার আশায় আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বগুড়ার কৃষকরা। জেলায় নতুন করে শুরু হয়েছে কৃষকের ব্যস্ততা। কেউ জমি চাষ করছে, কেউবা শীতের সবজির বীজ ছিটাচ্ছে, কেইবা নিড়ানি বা সেচের পানি দিচ্ছেন ক্ষেতের জমিতে। কে আগে শীতের আগাম সবজি বাজারে নিতে পারবে, সে নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
এ বছর জেলায় বাণিজ্যিকভাবে আগাম সবজি চাষ হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। বিপরীতে ফলন পাওয়া যাবে ৫০ হাজার টন। এমন কথা জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ।
বগুড়ার শাজাহানপুর, শিবগঞ্জ, শেরপুর, কাহালু ও গাবতলী উপজেলায় এরই মধ্যে শীতের আগাম জাতের সবজিতে ভরে উঠেছে মাঠ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে সারি সারি সবজির চারা। এর মধ্যে রয়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপির চারা, লাউ, শিম, বেগুন, মুলা, করলা, পটোল, পালং, লালশাকসহ হরেক রকমের আগাম শীতকালীন সবজি।
বর্তমানে শিম, বেগুন, লালশাক, মুলাশাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, মরিচের চারা রোপণ চলছে। এবারো আগাম সবজি বাজারে তুলতে পারলে ভালো দাম পাবে বলে কৃষকরা উৎসাহের সঙ্গে চাষাবাদ করে যাচ্ছে। কৃষক লতিফুল ইসলাম জানান, বগুড়া জেলায় এবার কয়েক হাজার কৃষক আগাম শীতকালীন সবজির চাষ করছে। এরমধ্যে কোনো কোনো কৃষক পরিপূর্ণ ফলন পেয়েছে, আবার অনেক কৃষক বীজবপণ বা পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত রয়েছে। আগাম জাতের চাষ করা এসব সবজির মধ্যে রয়েছে ফুলকপিসহ বাঁধাকপি, বেগুন, বরবটি ইত্যাদি। অনেকে টমেটোর বীজও বপণ করেছে। বগুড়া সদরের শাজাহানপুর উপজেলার চুপিনগর গ্রামের কৃষক ওসমান গণি বলেন, আমি এক বিঘা জমিতে শীতকালীন আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করেছি। এছাড়াও টমেটো, বরবটি, বাঁধাকপির বীজ বপণ করেছি। অনান্য বছর যে সময়ে রোপণ করি, এবছর তার থেকে একটু আগে রোপণ করা হয়েছে। আশা করছি ফলন ও দাম দুটোই ভালো পাবো। একই গ্রামের কৃষক রহিম বলেন, কৃষি অফিসারদের পরামর্শ নিয়ে নতুন নতুন জাতের সবজি লাগিয়ে ভালো ফলন পাই। তিন বিঘা জমিতে এবার শীতকালীন আগাম জাতের ফুলকপি, বাঁধাকপি ও টমেটোর চাষ করেছি। ক্ষেতের বাকি সবজিগুলোর ফলনও ধীরে ধীরে ভালোর দিকে যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন পাবো বলে আশা করছেন তিনি। কৃষি কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন গ্রামের মাঠে কৃষকরা এবছর আগাম শীতকালীন সবজির চাষ করছে। বিগত বছরগুলোতে তারা ভালো ফলন পাওয়ায় অনেক আগ্রহ নিয়ে তারা এ বছর পুনরায় চাষাবাদ করেছে। আমরা আশা করছি এবারও তারা ভালো ফলন পাবে।