রাঙামাটির সাজেকে গত চার দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় খাবার ও খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানে আটকা পড়া ১৫০০ পর্যটক। গতকাল সোমবার দুপুরে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার বিষয়টি জানান।
পর্যটক আল-আমিন বলেন, খাবার পানির সংকটে আছি। গত দুই দিন ধরে বিদ্যুৎ নাই, নেটওয়ার্কও নাই। এখানে অকটেনের মাধ্যমে যে জেনারেটর চলবে তাদের জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে। হোটেলে গেলে সেখানেও খাবার নেই। জীবন বাঁচাতে আমরা ঝরনার পানি পান করে বেঁচে আছি। খুব ভয়াবহ অবস্থাতে আছি। এই মুহূর্তে আমাদের একটাই চাওয়া, সুস্থভাবে বাসায় ফিরে যাওয়া। সাজেকের এক কটেজ ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত ১৮ তারিখ দীঘিনালা সংঘর্ষ ঘটনার পর থেকেই বাঘাইছড়ি ও সাজেক কোথাও বিদ্যুৎ নাই। যার ফলে ব্যবহারের পানি-খাবার পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। হোটেলগুলোতে পর্যাপ্ত খাবার নাই। সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ন দেব বর্মন বলেন, খাবার ও পানি সংকট নিরসনে কাজ করছি। সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে।
আশা করছি, দ্রুতই সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। রাঙামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার জানান, গত ১৮ তারিখ দীঘিনালায় সংঘর্ষের ঘটনায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতি হয়। যার ফলে দীঘিনালাসহ বাঘাইড়ি উপজেলা বিদ্যুতের সমস্যার সৃষ্টি হয়। মূলত বৃহস্পতিবার শুক্রবার ও শনিবারের পর্যটক বেশি হয়। এই চিন্তা থেকে ব্যবসায়ী বেশি খাবার মজুত করেনি। মাছ মাংস নেই। তবে সবজি আছে। তা দিয়ে আপাতত চলা যাবে। আর জ্বালানির ব্যবস্থা সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সহায়তা করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০০ পর্যটক সেখানে আটকা আছে। অবরোধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত গাড়ি ছাড়া নিরাপদ হবে না। এর মধ্যে যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো গতকাল ও আজ সব মিলে পাঁচটি ব্যক্তিগত হেলিকপ্টার ভাড়া করে ২০-২৫ জন চলে গেছেন।