ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পুলিশ কর্মকর্তাদের আইজিপি

দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করুন

দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করুন

আসন্ন দুর্গাপূজায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা থাকবে এবং পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। তিনি বলেন, পুলিশ দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রাক-দুর্গাপূজা, দুর্গাপূজা চলাকালীন এবং প্রতিমা বিসর্জন ও দুর্গাপূজা-পরবর্তী- এ তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। এরইমধ্যে পুলিশের পূজাকেন্দ্রিক নিরাপত্তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য পুলিশকে সতর্ক থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রোধে পুলিশের সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। তিনি জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করার জন্য পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, অপরাধীরা সাধারণত মধ্যরাতে অথবা শেষ রাতে পূজামণ্ডপে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে থাকে। তিনি পূজা চলাকালে সিসিটিভি, আইপি ক্যামেরা সক্রিয় রাখা, প্রতিটি মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পূজা উদযাপন পরিষদ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

আইজিপি আশা প্রকাশ করে বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আসন্ন দুর্গাপূজা উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে নিরাপদে নির্বিঘ্নে উদযাপিত হবে। পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পিআর শাখার এআইজি ইনামুল হক সাগর জানান, দুর্গাপূজা চলাকালে ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি সোয়াট, ক্রাইসিস রেসপন্স টিম, কুইক রেসপন্স টিম, ক্রাইম সিন ভ্যান ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং অন্যান্য পুলিশ ইউনিটে মনিটরিং সেল চালু থাকবে। দেশের ৩২ হাজার ৬৬৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। সভায় র‌্যাব মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান, এসবি প্রধান মো. শাহ আলম, অতিরিক্ত আইজিপি আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো. শাহাবুদ্দিন খাঁন, নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ, ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান, ঢাকায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানরা, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল রোজারিও ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব ও সাধারণ সম্পাদক ড. তাপস চন্দ্র শীল, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী কল্পেশানন্দ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত