ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

শিমের সঙ্গে বরবটি চিচিঙ্গা চাষে সফলতা

শিমের সঙ্গে বরবটি চিচিঙ্গা চাষে সফলতা

সমুজ আলী ও মো. সনজব আলী দুই ভাই। তারা মিলে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলের ভুলকোট গ্রামে প্রায় ৩৬ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ করেছেন। শিমের ফলন ভালো হয়েছে। শিমের পাশাপাশি একই জমিতে বরবটি ও চিচিঙ্গা চাষ হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুই ভাই মিলে শিম খেতে কঠোর পরিশ্রম করছেন। গাছ থেকে শিম সংগ্রহ করে প্রস্তুত করছেন বিক্রির জন্য। শুধু তারা নয়, অন্যন্য কৃষকরাও এ জাতের শিম চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।

সমুজ আলী ও সনজব আলী জানান, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ক্রিপার প্রদর্শনীতে শিমের সঙ্গে বরবটি ও চিচিঙ্গা চাষ করেন। গাছ থেকে শিম সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে যান। পাইকারের কাছে প্রতিকেজি শিম ১৮০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করেন। গ্রীষ্মকালীন সিকৃবি-১ জাতের শিম বীজ রোপণ করেন মার্চ মাসে। এই মৌসুমে চাষে তাদের প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে গাছে গাছে শিম দেখা যায়। শিম, বরবটি ও চিচিঙ্গা বিক্রি করে প্রায় ৪০ হাজার টাকা এসেছে। অক্টোবর পর্যন্ত শিম উৎপাদন অব্যাহত থাকার কথা। ওই সময় পর্যন্ত আরো দেড় থেকে ২ লাখ টাকা শিম বিক্রি থেকে আসবে বলে তারা আশা করছেন। এ ছাড়া বরবটি ও চিচিঙ্গা থেকেও অর্থ আসছে। দুই ভাই আরো জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের সার্বিক পরামর্শে শিম চাষ করেন। এতে তারা সফল হয়েছেন। তাদের শিম চাষ দেখে এলাকার অন্য কৃষকদের মাঝেও আগ্রহ দেখা দিয়েছে। তারাও গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ শুরু করছেন।

স্থানীয় কৃষক মো. সাদেক মিয়া বলেন, গ্রীষ্মকালীন সিকৃবি-১ জাতের শিম চাষ শুরু করেন সমুজ ও সনজব আলী। শিম চাষে তারা সফলতা পেয়েছেন। পাইকাররা এ শিম প্রতিকেজি ১৮০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে কিনে নিয়ে ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি করছেন। তাই এ মৌসুমে জমি আবাদ করে এ জাতের শিম চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। আমি শিম বিক্রি করতে পারছি। অক্টোবর মাস পর্যন্ত শিম বিক্রি চলবে।

উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম জানান, উপজেলার নানা এলাকায় শীতকালে বিভিন্ন জাতের শিম চাষ হলেও গ্রীষ্মকালের জন্য উপযুক্ত হচ্ছে সিকৃবি-১ জাতের শিম। এই শিম গ্রীষ্ম ও বর্ষার আবহাওয়া সহিষ্ণু। মূলত এই শিম চাষে উপজেলার ভুলকোট গ্রামে সফলতা পেয়েছেন দুই ভাই মো. সমুজ আলী ও মো. সনজব আলী। তাদের দেখাদেখি কৃষক দুলাল মিয়া ও সাদেক মিয়াসহ আরো অনেক কৃষক শিম চাষে সফল হচ্ছেন।

তিনি আরো জানান, এখানকার উঁচু জমিতে কৃষকরা ধানসহ নানারকম সবজির আবাদ করেন। বর্তমানে আমার পরামর্শে একাধিক কৃষক সিকৃবি-১ জাতের শিমের আবাদ করেছেন। ভালো চাষের জন্য সবসময় পরামর্শ দিয়ে থাকি। খেতে ভালো ফলন হয়েছে। তারা দামও পাচ্ছেন ভালো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার বলেন, বাহুবলে গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ হতো না। বর্তমানে সেখানে শিম চাষ করছেন কিছু কৃষক। ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকরা দামও পাচ্ছেন ভালো। ভবিষ্যতে গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ আরো বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত