ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এইচএসসিতে খরচ না হওয়া টাকা ফেরত পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

এইচএসসিতে খরচ না হওয়া টাকা ফেরত পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের কিছু বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া এসব বিষয়ের পরীক্ষা, উত্তরপত্র (খাতা) মূল্যায়নের জন্য ধার্য এবং ব্যবহারিক ফিবাবদ আদায় করা অব্যয়িত (খরচ না হওয়া) অর্থ ফেরত দিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির ১৯২তম সভায় পরীক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেয়ার এ সিদ্ধান্ত হয়। গত ১৮ সেপ্টেম্বর এ সভা হয়। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়।

পরীক্ষার জন্য আদায় ও বরাদ্দ দেয়ার পর যে টাকা খরচ হয়নি, তা তিন স্তরে ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কে, কাকে এবং কীভাবে টাকা ফেরত দেবে, তা বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দিয়েছে বোর্ড। বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, এইচএসসিতে ফরম পূরণ করলেও যেসব বিষয়ের তত্ত্বীয় পরীক্ষা হয়নি, সেগুলোর প্রতিটি পত্রের জন্য ৪০ টাকা এবং ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য প্রতিটি পত্রের জন্য ৪৫ টাকা করে ফেরত পাবেন। বোর্ড কর্তৃক পরীক্ষার্থীকে ফেরত: ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যেসব পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছিলেন, তাদের প্রবেশপত্রে উল্লেখিত প্রতিটি পত্রের জন্য বোর্ড কর্তৃক ধার্য করা উত্তরপত্র মূল্যায়ন ফি পত্রপ্রতি (তত্ত্বীয়) ৪০ টাকা করে ফেরত দেয়া হবে। বোর্ড কর্তৃক ফেরতযোগ্য অর্থ সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে। পরীক্ষার্থী নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বোর্ড প্রদত্ত অব্যয়িত অর্থ গ্রহণ করবেন। কেন্দ্র কর্তৃক পরীক্ষার্থীকে ফেরত: ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যেসব পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছিলেন, তাদের প্রবেশপত্রে উল্লেখিত (আইসিটি ছাড়া) সব ব্যবহারিক বিষয়ের ক্ষেত্রে পত্রপ্রতি ৪৫ টাকা করে ফেরত দেয়া হবে। পরীক্ষার্থী ব্যবহারিক ফি বাবদ অব্যয়িত অর্থ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রহণ করতে পারবেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক কেন্দ্রকে প্রদান : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্র ফি বাবদ আদায়কৃত অর্থের ১০ শতাংশ কর্তন করে অবশিষ্ট অর্থ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে প্রদান করবে। কেন্দ্র ওই অর্থ পরীক্ষা পরিচালনা, পরীক্ষার গোপনীয় মালামাল বোর্ডে জমাদানসহ পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কাজে ব্যয় করবে। গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম দফায় প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার। সূচি অনুযায়ী- তিন দিনের মোট ৬১ বিষয়ের পরীক্ষা গ্রহণ বাকি ছিল। বিভিন্ন বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) বিভিন্ন বিষয় থাকায় এতগুলো পরীক্ষা স্থগিত এবং পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে তা বাতিল করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত