শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার আলাদা তালিকা চায় যাত্রী কল্যাণ সমিতি
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
সম্প্রতি দেশের সব সিটি বাসে সপ্তাহের সাত দিনই শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই ‘হাফ ভাড়া’ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের বচসা, হাতাহাতি, মারামারির ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য, তা নিরসনের জন্য সরকারি উদ্যোগে প্রতিটি বাসে আলাদা ‘হাফ ভাড়ার’ তালিকা সাঁটানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল মঙ্গলবার সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেলের পাঠানো এক বার্তায় এ দাবি জানানো হয়েছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের তীব্র গণআন্দোলনের মুখে ২০২১ সালে ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি নেতারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরীর সিটি সার্ভিসের বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া মেনে নিলে বিআরটিএ শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া আদায়ের প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
তবে আলাদাভাবে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া অনুযায়ী বাস ভাড়ার সরকারি তালিকা না থাকায় বাসে বাসে ভাড়া আদায়কারী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাতাহাতি, মারামারি, গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে উল্লেখ করে সংগঠনটি বলছে, কোনো কোনো বাসে হাফভাড়া না নেয়ায় একই কোম্পানির একাধিক বাস শিক্ষার্থীরা সড়কে চলমান অবস্থায় আটকে রাখার ঘটনা প্রায়ই ঘটেছে। কোথাও কোথাও এ নিয়ে বচসার জেরে শিক্ষার্থীদের বাস থেকে ফেলে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলেছে, শিক্ষার্থীর ইউনিফর্ম দেখলে বাসে না নেয়ার মতো ঘটনার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থী পরিবহনের ভাড়া আদায়কারী শ্রমিকদের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের সিটি সার্ভিসের বাসে হাফ ভাড়া নেয়ার ঘোষণা দেন বাস মালিক সমিতির নেতারা।
অথচ বাস মালিকরা দৈনিক ইজারা চুক্তিতে বাসের চালক বা ভাড়া আদায়কারী শ্রমিকের হাতে বাসটি প্রতিদিন নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকার চুক্তিতে লিজ দেন। শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিলে বাসে কিছু ভাড়া আদায় কমে যায়। যার পুরো দায় দৈনিক চুক্তিতে বাসটি পরিচালনাকারী ওই বাসের চালক বা সহকারীর কাঁধে ওঠে। এই কারণে বাসের চালক শ্রমিকের সঙ্গে ছাত্রদের মুখোমুখি হতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে বাস ভাড়া নির্ধারণের শর্ত অনুযায়ী মালিকের মুনাফায় বাস চালানো নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বাসে বিআরটিএর নেতৃত্বে সরকারিভাবে পৃথক বাস ভাড়ার তালিকা সাঁটানোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।