বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জাতীয় কমিটি গঠন
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জাতীয় কমিটি গঠন করেছে সরকার। সম্প্রতি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সভাপতি করে ২৭ সদস্যের ‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের নিমিত্ত জাতীয় কমিটি’ গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান-নির্বাহী পরিচালক, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মনোনীত কমপক্ষে অতিরিক্ত সচিব-যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান-মহাপরিচালক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশে ইউনিসেফের কান্ট্রি ডিরেক্টর।
এছাড়া সরকারের মনোনীত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কার্যক্রম রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠিত বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বা নারী ও শিশু অধিকার সম্পর্কিত দুটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) একজন করে প্রতিনিধি থাকবেন। যাদের মধ্যে একজন নারী থাকবেন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কমিটিতে সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এ কমিটি আইনের যথাযথ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধকল্পে জেলা কমিটির কার্যক্রম তদারকি ও সমন্বয় করবে। এছাড়া বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে চ্যালেঞ্জ চিহ্নিতকরণ এবং তা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও দিকনির্দেশনা প্রদান; বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান; বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং এ সংক্রান্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ও নীতিসমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ সংক্রান্ত কার্যক্রমের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রণয়ন ও প্রকাশ করবে জাতীয় কমিটি।
কমিটির সভা প্রয়োজন অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে। কমিটি প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার প্রতিনিধিকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত কমিটি গঠন করে জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল হয়ে যাবে বলেও নতুন প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।