দীর্ঘদিন গোপনে থাকার বিষয়ে যা বলছেন ঢাবি শিবির সেক্রেটারি
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রায় এক যুগ পর সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে শুরু দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন শাখা। এরপর শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন শিবির আগে কেন প্রকাশ্যে রাজনীতি করেনি কিন্তু এখন কেন প্রকাশ্যে।
এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ বলেছেন, ২০০৯ থেকে ‘১৪ সাল পর্যন্ত ছাত্রশিবির ওপেনে কাজ করেছে। এখন প্রশ্ন হলো, কোন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে কোন কারণ ছাড়াই ৫৬ দিন রিমান্ডে নেয় কেউ কিছু বলে না; অনেক শাখার দায়িত্বশীলকে গুম করে ফেলা হয়েছে, আমাদের শত শত ভাইকে ক্রসফায়ার দেয়া হয়েছে, মিথ্যা মামলায় জর্জরিত করে রিমান্ডে নির্যাতন করা হয়েছে, তখন আপনি কি বলবেন তোমার বড় ভাইকে গুম করে হত্যা করা হয়েছে আর তুমি কেন পরিচয় প্রকাশ করবে না, এই প্রশ্ন বৈধ নাকি তোমার বড় ভাইকে হত্যা করা হয়েছে তুমি কেন বিচার চাইবে না এই প্রশ্নটা বৈধ?
গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ফরহাদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের আগের জেনারেশনকে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা করা হবে কিন্তু পরের জেনারেশনের কোন ছোট ভাই হত্যার ভয়ে যখন পরিচয় প্রকাশ করতে পারবে না, তখন আপনারা তাকে প্রশ্ন করবেন আপনারা গোপন ছিলেন কেন; আমার মনে হয় এরকম প্রশ্ন করা মজলুম একটি সংগঠনের ওপর আরও বেশি জুলুম করা। ২৪ এর বিপ্লবে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ছিল দলীয় ব্যানারের বাইরে। এই আন্দোলনে যারা যোগ দিয়েছিল তারা কখনো দলের হয়ে আসেনি। এই আন্দোলনে কোন দলীয় ক্রেডিট নেই, এটা সবার। এগুলো ক্রেডিট নেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্পিরিটের সাথে যায় না? বলে মনে করেন ফরহাদ। তিনি বলেন, আন্দোলনে সবাই দল-মত ভুলে গিয়ে যোগ দিয়েছে। এখানে আমি কি করেছি, অন্যরা কি করেছে, এই বিশ্লেষণে ছাত্রশিবির যাবে না। তবে আমরা যা করেছি আমাদের সাথে যারা সম্পৃক্ত ছিল তারা জানেন।
ঢাবির সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতে নাম থাকা প্রসঙ্গে ফরহাদ বলেন, পদে থাকার জন্য যে কন্ডিশন লাগে এগুলোর কোনটার সাথে আমি জড়িত ছিলাম না।
ছাত্রলীগের কমিটি দেয়ার যে পদ্ধতি সেখানে মেইন কমিটি হওয়ার পরে অনেকগুলো প্রোগ্রামে যাইতে হয়। প্রোগ্রামে যেতে যেতে একটা ফ্যাকাল্টি বা হলের দুইজন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হয়। তারা পদ পাওয়ার পর আবার অনেকদিন প্রোগ্রাম করে, বিভিন্ন জায়গায় ফুল দেয়, নেতার প্রটোকল দেয়, বিভিন্ন কার্যক্রম করে। এক পর্যায়ে তারা একটা পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে। কমিটি ঘোষণা করার পর আবারও প্রোগ্রাম করে। কিন্তু আমার ইনস্টিটিউট জীবনে কেউ একটা সিঙ্গেল ডকুমেন্ট দেখাতে পারবে না, আমি ছাত্রলীগের কোনো প্রোগ্রামে ছিলাম।