বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের খেলা এখনো শেষ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। বাংলাদেশকে নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জন্য বিগত দিনে আমরা ভারতের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ করতে পারিনি। ফেলানীর লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে, আমরা প্রতিবাদ করেও কোনো বিচার পাইনি। গতকাল শনিবার রাজধানীর পল্টনে ফেনী সমিতির মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার সমিতির আয়োজন করা হয়। জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আমি জোর গলায় বলতে পারি আওয়ামী লীগ কখনো মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ছিল না। আওয়ামী লীগ কোনোদিনই মুক্তিযুদ্ধ চায়নি। মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতাও চাইনি। শেখ মুজিবুর রহমান ইয়াহিয়ার সাথে, ভুট্টোর সাথে আলোচনা করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, সেই ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছে, আমাদের আশ্রয় দিয়েছে বলে পিন্ডের জিঞ্জির ভেঙে কি দিল্লির জিঞ্জিরে আবদ্ধ হওয়ার জন্য।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনার কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা। প্রত্যাশা পূরণের আগে আমরা জানি আপনাকে সব জনজালমুক্ত একটা বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। জানি সময় লাগবে সেই সময় বিএনপি আপনাদের দিতে চায়। অবশ্যই দেবে। সেই সময়টুকু কতটুকু হবে সেটি নির্ধারণ করবেন আপনি এবং রাজনৈতিক দলগুলো। যারা হাসিনাকে পরিত্যাগ করতে বাধ্য করেছে।
বিরোধীদলীয় সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, হাসিনার প্রেতাত্মারা বিভিন্ন জায়গায় এখনো বসে আছে। আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা আপনার সঙ্গে যেন আর বেশি দিন না থাকে সেই বিষয়ে আপনার লক্ষ্য রাখতে হবে।
কেন এখনো তারেক রহমানকে বাংলাদেশের ফেরত আনা হচ্ছে না এমন প্রশ্ন জানিয়ে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, কেন তার সব মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই অতি দ্রুত তারেক রহমানের সব মামলার প্রত্যাহার করে তাকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করুন। তারেক রহমান বলে দিয়েছেন, আমার দলের সাথে যারা বিগত দিনে আন্দোলন ছিল। তাদের সঙ্গে আমি নির্বাচনে যাবো দুই পক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গড়ে তুলবো দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না। এরকম উজ্জ্বল নক্ষত্র নেতার প্রয়োজন বাংলাদেশে। তাই আমরা মনে করি বাংলাদেশের রাজনীতিতে আপনি অনন্য একটা উদাহরণ সৃষ্টি করবেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাফেজ মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা কাজী সেলিম রেজা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আলমগীর হোসেন প্রমুখ।