ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফিরেছে সম্প্রীতি, ১৮ মামলার একটিরও বিচারকাজ শেষ হয়নি

ফিরেছে সম্প্রীতি, ১৮ মামলার একটিরও বিচারকাজ শেষ হয়নি

২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামু, ৩০ সেপ্টেম্বর উখিয়া ও টেকনাফের বৌদ্ধ বিহার, বৌদ্ধ পল্লীতে হামলা ও অগ্নিসংযোগে ১৯ বৌদ্ধ বিহার, ৪১ বসতঘর পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় আরো ৬টি বৌদ্ধ বিহারসহ অর্ধশত বৌদ্ধ বসতঘরে। এতে কয়েকশত বছরের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পুড়ে যায়। ঘটনার পরপরই পোড়া মন্দিরে তৈরি হয়েছে নান্দনিক স্থাপনা। এ ঘটনার পর মামলা করা হলেও নারকীয় হামলার বিচারপ্রক্রিয়া ১২ বছরেও শেষ হয়নি।

এসব মামলা নিয়ে চরম বিতর্ক থাকায় সাক্ষীরাও সাক্ষ্য দিতে অনীহা প্রকাশ করছে। ফলে সাক্ষীর অভাবে এ বিচার প্রক্রিয়া থমকে আছে। অপরদিকে বিতর্কিত এসব মামলায় বছরের পর বছর আদালতে হাজিরা দিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে নিরীহ লোকজন।

ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধদের আক্ষেপ ও অভিযোগ হলো- মামলার আসামি, সাক্ষীর সাক্ষ্য দেয়া নিয়ে। তারা মনে করেন, মামলার আসামি এবং মামলার সাক্ষী হিসেবে যাদের নাম দেয়া হয়েছিলো, তাদের নাম যথাযথভাবে উল্লেখ করা হয়নি। মামলায় জড়িতদের পরিবর্তে নিরীহ লোকজনকে রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রেক্ষাপটে আসামি করে হয়রানি করা হচ্ছে। এখন যাদের নাম সাক্ষীর তালিকায় আছে, তাদের অনেকেই জানে না সাক্ষীর তালিকায় তাদের নাম রয়েছে।

বারো বছরে বৌদ্ধদের মাঝে ফিরেছে সম্প্রীতি। দৃষ্টিনন্দন স্থাপনাশৈলীতে পুণ্যার্থীদের পাশাপাশি বেড়েছে পর্যটক আকর্ষণ। ক্ষতিগ্রস্ত পেয়েছেন নতুন ঘর। পুজাপার্বন, ধর্মীয় উৎসবে অন্যধর্মাবলম্বীর সরব উপস্থিতে মুখরিত হয় এখন বিহার প্রাঙ্গণ। সম্প্রীতিতে ফিরতে পারায় খুশি বৌদ্ধরা। তবে বিচারপ্রক্রিয়ার অচলাবস্থা নিয়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মাঝে রয়েছে এখনো অসন্তোষ। রামু সহিংসতার সেই কালো রাতের ঘটনা স্মরণ করে রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারের পরিচালক শীলপ্রিয় থের বলেন, ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আমাদের বৌদ্ধ বিহারগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। সেই সম্পদ ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। সেই সময়ে কিছু দুর্বৃত্তের একটি রাত ছিলো। ঘটনাটি স্মরণ করলে এখনো চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। কঠিন সময় গেছে আমাদের। দুর্বৃত্তরা আমাদের বৌদ্ধ বিহার ও বৌদ্ধ পল্লী পুড়িয়ে দিয়ে অনেক ক্ষতি করেছে।

তিনি বলেন, আমরা হারিয়ে যাওয়া দিনের চেয়ে বর্তমানে অনেক সম্প্রীতি ভোগ করছি। এখন আমাদের সম্প্রীতি অনেক বৃদ্ধি হয়েছে। আমরা রামুবাসী সম্প্রীতিতে আছি। আগামী দিনেও আমাদের এ সম্প্রীতি ধরে রাখতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত