পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন সমন্বয় কমিটি বাতিল ইস্যুতে টিআইবির বিবৃতির কঠোর প্রতিবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিবৃতিতে তারা বলেন, ইসলামি জনমতকে ‘মৌলবাদ’ বলা ফ্যাসিবাদী আচরণ বৈ কিছু নয়। পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন সমন্বয় কমিটি বাতিল ইস্যুতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের বিবৃতি পড়ে আমাদের মনে হয়েছে, তারা ইসলামি জনমতকে বাদ দিয়েই তথাকথিত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চান। তাদের বক্তব্যে উগ্র সেক্যুলার ফ্যাসিবাদ কায়েমের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলেও আমরা তা দেখেছি। ওয়ার অন টেরর-এর ইসলামবিদ্বেষী ভাষা ও বয়ান থেকে এখনো তারা বের হতে পারেননি। আমরা কিন্তু ভুলে যাইনি, সাম্রাজ্যবাদের দালালিস্বরূপ শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রেজিমের ওপর সওয়ার হয়ে তারাই একসময় আলেম সমাজ ও ইসলামপন্থিদের দমন-পীড়নের মন্ত্রণা দিতো। যেখানে হাসিনার শাসনামলজুড়ে জাতীয় পাঠ্যপুস্তকের সমস্যাদি নিয়ে ওলামায়ে কেরাম সর্বোচ্চ সোচ্চার ছিলেন, সেখানে নতুন বাংলাদেশে শিক্ষা বিশেষজ্ঞহীন ওই সমন্বয় কমিটিতে কোনো আলেম অন্তর্ভুক্ত না করাটা ছিল গুরুতর বৈষম্য। কিন্তু তা নিয়ে সেক্যুলারদের কোনো আলাপ বা প্রশ্ন নেই। সেক্যুলার সুশীলতার আবরণে ব্র্যাক ও টিআইবিসহ কিছু এনজিও এ দেশে সাম্রাজ্যবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে, বলেন হেফাজতের দুই নেতা।
তারা আরো বলেন, এ দেশে পশ্চিমা প্রভাব ও আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে তারা সাম্রাজ্যবাদীদের ফান্ড পেয়ে থাকে। সে কারণে বিভিন্ন বিতর্কিত পশ্চিমা মূল্যবোধ ঢুকিয়ে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক দূষিত করতে তৎপর। কিন্তু এক্ষেত্রে ইসলামি জনমত তাদের জন্য বড় বাধা।