বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের উপকূলীয় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের আমন ধানের ক্ষেতগুলো সবুজে সবুজে ভরে উঠেছে।
উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে আমন ধানের চারা গাছগুলো আশ্বিনের বাতাসে দোল খাচ্ছে। চারিদিকে শুধু আমন ধানের সমারোহ। আমন ধানের খেতগুলোকে নিয়ে কৃষকের রঙ্গিন স্বপ্ন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের ফলন ভালো হবে বলে স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে ২৬ হাজার ৩৯৫ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ২৬ হাজার ৩৯৫ হেক্টর। বর্তমানে আমন ধানের খেতগুলোতে ধানের শীষ বের হওয়া শুরু হয়েছে। আবাব কতগুলো ধানের খেত অল্প কিছুদিনের মধ্যে বের হবে।
চাষি হাবিবুর রহমান, মোস্তফা, সিরাজ, ইসলাম, রিপন, শফিকুলসহ অনেকে জানান, এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই আশানুরূপ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে ফলনও ভালো হবে।
মোরেলগঞ্জ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগের নির্দেশনায় আমরা মাঠপর্যায়ে আমন চারা রোপণে কৃষককে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি। মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নে এবারে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ১২৫০ হেক্টর ধরা হয়েছে। শেষ সময়ে বৃষ্টি হওয়ায় গাছ ও ফসলের জন্য ভালো হয়েছে। শেষ সময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আগের তুলনায় ধানের খেতে পোকামাকড়ের আক্রমণ একটু কমে গেছে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, এ বছর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে ২৬ হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উফশী জাতের ৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর, হাইব্রিড ১০ হেক্টর ও স্থানীয় ২০ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা কৃষি বিভিাগের মাঠপর্যায়ের কর্মীরা কৃষকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কৃষকদের ধানের খেতের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।