ঢাকা ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন

১৭ কর্মকর্তা নিশ্চিত করতে পারবেন কি নাগরিকসেবা?

১৭ কর্মকর্তা নিশ্চিত করতে পারবেন কি নাগরিকসেবা?

৭৬ জন কাউন্সিলরের নাগরিকসেবা কি ১৭ জন সরকার মনোনীত কর্মকর্তা নিশ্চিত করতে পারবেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে। এমন প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে গাজীপুরে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত মেয়র অপসারণের পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর নির্বাচিত কাউন্সিলরদেরও অপসারণ করা হয়েছে দায়িত্ব প্রাপ্তের সাড়ে ১২ মাসের মাথায়। এতে করে গাসিকের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা যেমন তাদের নাগরিকদের সেবা দেয়া থেকে বঞ্ছিত হচ্ছেন তেমননি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সিটির নাগরিকরা। দেশের সর্ব বৃহৎ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ৫৭টি সাধারণ ওর্য়াড ও ১৯ টি সংরক্ষিতি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। ২০২৩ সালের ২৫ মে ৩য় মেয়াদের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দায়িত্ব পেয়ে ছিলেন ১১ সেপ্টেম্বর। দেশের এ বৃহৎ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ইলেকট্রনিক্স মেশিন বা ইভিএমণ্ডএর মাধ্যমে। এ নির্বাচনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। ক্ষমতাসীন সরকার দলীয় নৌকার মেয়র প্রার্থীকে পরাজিত করে সতন্ত্র বয়োবৃদ্ধ মহিলা মেয়র প্রার্থী ঘড়ি প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিলেন। তদরূপ প্রতিটি ওয়ার্ডে সরকার দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীর বিপরীতে একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে লড়াই করে জয়লাভ করেছেন তাদের যোগ্যতায়। এদের মধ্যে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত কাউন্সিলর প্রার্থীরাও জয়লাভ করেছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে। ফলে কাউন্সিলরদের অপসারণের পর নগরবাসির সেবার বিষয়টি নিশ্চিত করা নিয়ে গাজীপুরের সর্বত্র প্রশ্ন উঠেছে। তবে এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে নগরবাসির সেবা নিশ্চিত করতে একটি কমিটি গঠনের কাঠামো উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ওই কমিটিতে সরকারের বিভিন্ন দফতর থেকে লোক মনোনীত করা হয়েছে। ৭৬ জন কাউন্সিলরের কাজ ১৭ জন কর্মকর্তা নগরবাসীকে কীভাবে সেবা নিশ্চিত করবেন তা নিয়ে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে গাজীপুরে। কারন তারা নিজের দফতরের কাজের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন সিটি করপোরেশনে।

বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানান, নির্বাচিত কাউন্সিলর ক্ষমতায় নেই তারা অনেকে জানে না। দুই তিন দিন ধরে নিজ নিজ ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসে এসে ঘুরে যাচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে না পেয়ে। জরুরি প্রয়োজনে সনদ দরকার তাই কর্মকর্তাদের না পেয়ে ভোগান্তি চরমে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সদ্য অপসারণকৃত কয়েকজন কাউন্সিলর নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা দিন রাতে নাগরিকদের সেবা প্রদান করেও স্থানীয় নাগরিকদের মন রক্ষা করতে পারি নাই। সেখানে কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তারা নিজের দফতরের কাজের ফাকে কীভাবে নাগরিকদের সেবা প্রদান নিশ্চিত করবেন। ওয়ার্ডবাসী তাদের প্রয়োজনে আমাদের যেভাবে কাছে পেয়েছে তাদের সেভাবে পাবে কীভাবে! কারণ আমরা তাদের কোনো না কোনোভাবে সর্বদা পাশেই থাকতাম। আমাদের রাতের অন্ধকারেও তারা পেত কিন্তু মনোনীত কর্মকর্তাদের অফিসের পরে কোথায় কীভাবে পাবেন সেবা নিতে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম সফিউল আজম বলেন, বৃহত্তর স্বার্থে কিছুটা অসুবিধা হতে পারে। কমিটি গঠন করে প্রত্যেক অঞ্চলে লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এখন আর কোনো সমস্যা হবে না। আমরা শতভাগ নাগরিকসেবা দিতে পারব বলে আশা করছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত