ঢাকা ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শেরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

৭ ইউনিয়নের হাজারো মানুষ পানিবন্দি

৭ ইউনিয়নের হাজারো মানুষ পানিবন্দি

প্রবল বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে শেরপুরের মহারশি, ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর দুকূল উপচে দুই উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। উপজেলা দুইটির গ্রামীণ অধিকাংশ রাস্তাঘাট, বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলের মাঠ তলিয়ে গেছে। অনেক বাড়িঘরে হাটু পরিমাণ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। অসংখ্য পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাতভর বৃষ্টিতে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর পানি বেড়ে উপজেলার সদর বাজার ও উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ ৪টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। একই কারণে পানি বেড়েছে সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীতেও। ফলে ডুবে গেছে নালিতাবাড়ী পৌরসভাসহ ৩টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গতকাল শুক্রবার সকালে নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদসীমার ৫২.৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং ভোগাই নদীর পানি ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল শেরপুর সদর উপজেলায় ১৭৭ মিলিমিটার, নালিতাবাড়ী পয়েন্টে ২২৫ মিলিমিটার এবং নাকুগাঁও পয়েন্টে ২৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতী সদর, ধানশাইল, কাংশা ও নলকুড়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের আংশিক প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চত্বরেও ঢলের পানি উঠেছে। বিভিন্ন এলাকায় ৭ থেকে ৮০০ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পানিবন্দিদের উদ্ধারে কাজ করছেন। বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য শুকনো খাবারও প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে বিকালের মধ্যেই আকস্মিক বন্যার পানি কমে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশও করেছেন। নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, উপজেলার ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পোড়াগাঁও, রামচন্দ্রকুড়া ও নয়াবিল ইউনিয়নের পাঁচ থেকে ছয়টি গ্রামের আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি খুবই খারাপ আকার ধারণ করেছে। এসব গ্রামের কোথাও কোথাও কোমর ও গলা পরিমাণ সমান পানি হওয়ায় মানুষজন নিরাপদ আশ্রয় চলে গেছে। তিনি আরো জানান, অনেকেই পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। বন্যার্তদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত