জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস ২০২৪

পালনে প্রচারণার তাগিদ এলজিআরডি উপদেষ্টার

প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস ২০২৪ উপলক্ষে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমকে আরো স্বচ্ছ, গতিশীল ও সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার উদ্যোগের তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবা কার্যক্রমকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্য ব্যাপক প্রচারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ গতকাল রাজধানীর ডিপিএইচই মিলনায়তনে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল ‘জন্মণ্ডমৃত্যু নিবন্ধন, আনবে দেশে সুশাসন।’ অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. যাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, ইউনিসেফ বাংলাদেশের উপ-প্রতিনিধি দীপিকা শর্মা এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আবু নছর মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ‘গ্রামের চেয়ে শহরে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের হার বেশি। কারণ গ্রামাঞ্চলে জনবল সংকট রয়েছে। জনবলের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে নিবন্ধন কার্যক্রমের উন্নতি করতে হবে।’ তিনি আরো জানান, ‘দেশের হাসপাতালগুলোতে প্রায় ৬০ শতাংশ শিশুর জন্ম হয়। তাই হাসপাতালগুলোতে জন্ম নিবন্ধনের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এবং ব্যক্তিগত ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি তুলে ধরতে প্রচারণা চালাতে হবে।’ তৃতীয় লিঙ্গ ও সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এ সব শিশুরা যাতে নিবন্ধন সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, সে জন্য নিবন্ধন দপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।’ উপদেষ্টা হাসান আরিফ আরো উল্লেখ করেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবা আরো আধুনিক ও সময়োপযোগী করতে একটি শক্তিশালী গবেষণা সেল গঠনের প্রয়োজন রয়েছে। এই সেল জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবার মান বৃদ্ধিতে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। আলোচনা শেষে উপদেষ্টা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখার জন্য মাঠ পর্যায়ে সফল ২১টি প্রতিষ্ঠান এবং তিনজন কর্মকর্তাকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন।