বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের জাহাজে অগ্নিকাণ্ড
নৌবাহিনীর সফল উদ্ধার অভিযান
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন তেলবাহী জাহাজ ‘এমটি বাংলার সৌরভ’-এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে এই অগ্নিকাণ্ডের পর দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যৌথ টাগশিপের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। প্রায় চার ঘণ্টার প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও জাহাজে থাকা ৪৮ নাবিকের মধ্যে ৪৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তবে একজন নাবিক মৃত্যুবরণ করেন। আহত নাবিকদের চট্টগ্রামে নৌবাহিনী হাসপাতাল বানৌজা পতেঙ্গায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ অগ্নিকাণ্ডের মাত্র পাঁচ দিন আগে চট্টগ্রাম বন্দরের ৭ নম্বর ডলফিন জেটিতে বিএসসির অন্য একটি তেলবাহী জাহাজ ‘এমটি বাংলার জ্যোতি’-তে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই দুর্ঘটনায় তিনজন নাবিক মৃত্যুবরণ করেন। উভয় অগ্নিকাণ্ডের পরই বাংলাদেশ নৌবাহিনী বিশেষ অগ্নিনির্বাপন সক্ষমতা সম্পন্ন টাগশিপ নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কর্মকর্তারা, নৌবাহিনী প্রধানের নির্দেশনায়, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে সমন্বয় করেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এর ফলে বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতি ও পরিবেশের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারত। অগ্নিকাণ্ডের সময় ‘এমটি বাংলার জ্যোতি’ এবং ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ জাহাজে বিপুল পরিমাণ তেল মজুত ছিল যথাক্রমে ১১,৭০০ মেট্রিক টন এবং ১১,০০০ মেট্রিক টন ক্রুড অয়েল। এই তেল বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলী নদীতে ছড়িয়ে পড়লে মারাত্মক পরিবেশগত ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এ ছাড়া, জাহাজ দুটির বিস্ফোরণ হলে কাছাকাছি থাকা রাষ্ট্রীয় তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা এবং ইস্টার্ন রিফাইনারি মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে পারত। চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ চলাচল ও দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে যেত। নৌবাহিনীর সফল অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রমের ফলে এ বিপর্যয় এড়ানো গেছে এবং দেশের অর্থনীতি ও পরিবেশ বিরূপ প্রভাবের।