ক্লান্তি আর অবসাদ যখন গ্রাস করে নেয়, তখন এক কাপ কফির তুলনা নেই। মুহূর্তেই মন আর শরীর চাঙ্গা করে দেয় এই পানীয়টি। মাথাব্যথায় দেয় স্বস্তি। কফির গুণের শেষ নেই। এই পানীয়টি ওজন কমাতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তবে তার জন্য দুধ-চিনি মেশানো কফি খেলে চলবে না। তাতে উল্টো ওজন বাড়তে পারে। তাহলে কীভাবে কফি খেলে উপকার মিলবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন ঝরাতে চাইলে পান করতে হবে চিনি ছাড়া কালো কফি। এতে থাকা ক্যাফিন শরীরে জমে থাকা ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে। কোনো শরীরচর্চা না করেও যদি দিনে কয়েক কাপ ব্ল্যাক কফি খাওয়া যায় তাহলেও শরীরে ক্যালোরির খরচ অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।
কফি বিভিন্নভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ, এটি পানে খিদে ও খাওয়ার ইচ্ছা কমে। কফিতে থাকা ক্লোরোজিনিক অ্যাসিড নামের ফাইটোকেমিক্যাল শরীরে গ্লুকোজ তৈরির হার কমিয়ে দেয়। ফলে শরীরে চর্বি জমার প্রবণতাও কমে। শরীরচর্চার আগে কফি খেলে শারীরিক ক্ষমতা দ্বিগুণ হারে বাড়ে। এর মানে এই নয় যে, ব্যায়ামের পরে কফি খাওয়া ক্ষতিকর। শরীরচর্চার পরে কফি খেলে দ্রুত চাঙ্গা ও চনমনে হয়ে উঠতে পারবেন।
‘হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথ’-এর মতে, কম ক্যালোরির সুষম খাবার ও পরিমিত ব্যায়ামের সঙ্গে দিনে কম করে ৩৪ কাপ বা ৭২০৯০০ মিলির মতো কফি খেতে পারেন। তবে পেশিবহুল সুঠাম শরীর চাইলে আরও বেশি খেতে পারেন। এই পানীয়টি গ্রহণেরও নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। সকাল দুপুর ও রাতে খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে কফি খান। এতে বেশি খাবার খেয়ে নেওয়ার ঝুঁকি থাকবে না। কারণ, পেট আগে থেকেই ভরা থাকবে। খাবার খাওয়ার পরেও কফি খেতে পারেন। এতে শরীরে চর্বি কম জমবে। খাবারের ক্যালোরিও শরীর কম শোষণ করবে।
ক্লান্তি কাটাতে কফির তুলনা নেই। কাজে গতি আনবে এই পানীয়। কাজে পাবেন দ্বিগুণ উৎসাহ। বাড়বে ক্যালোরি খরচ। তাই রোজকার খাদ্যতালিকায় রাখুন ২-৩ কাপ চিনি ছাড়া কালো কফি।