ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুন

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুন

চলতি বছর নোবেল পুরস্কারের সূচনা হলো চিকিৎসাশাস্ত্রে পুরস্কার জয়ীর নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিশেষ অবদান রাখায় এ বছর যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার জিতলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুন। মাইক্রো আরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকার কারণে এ পুরস্কার পেলেন তারা। সুইডেনের নোবেল অ্যাসেমব্লি অ্যাট ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে তাদের নাম ঘোষণা করে।

গত বছর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পান হাঙ্গেরিয়ান বিজ্ঞানী কাতালিন ক্যারিকো ও তার মার্কিন সহকর্মী চিকিৎসক ড্র ওয়াইজম্যান। করোনাভাইরাসের টিকার প্রযুক্তি আবিষ্কার করায় এই দুই বিজ্ঞানীকে চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়। ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৩ জন নারী নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ১৩তম নারী হিসেবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন কাতালিন ক্যারিকো।

উল্লেখ্য, ১৯০৫ সালে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৩ মাল পর্যন্ত চিকিৎসাশাস্ত্রে ১১৪ বার নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে। পেয়েছেন ২২৭ জন বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক। ইনসুলিন আবিষ্কারের জন্য মাত্র ৩১ বছর বয়সে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ফ্রেডরিখ জি ব্যান্টিং। ১৯২৩ সালে জন ম্যাক্লিওডের সাথে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান তিনি। এখনও তার জন্মদিন ১৪ নভেম্বর সারা বিশ্বে একযোগে পালিত হয় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে। সবচেয়ে বয়স্ক বিজ্ঞানী হিসেবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ৮৭ বছর বয়সী পেটন রাউস।

১৯৬৬ সালে তাকে টিউমারের জন্য দায়ী ভাইরাস আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। পিতা-পুত্র হিসেবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সুনে বেরস্ট্রোম ও সোয়ান্তে প্যাবো। সুইডেনের জিনবিজ্ঞানী সোয়ান্তে প্যাবো বিলুপ্ত হোমিনদের জিনোম এবং মানবজাতির বিবর্তন বিষয়ে গবেষণার জন্য ২০২২ সালে এই নোবেল পুরস্কার পান। তার তার বাবা সুনে বেরস্ট্রোম ১৯৮২ সালে প্রোস্টাগ্লান্ডিন ও এ জাতীয় জৈবিক ক্রিয়াশীল উপাদান সম্পর্কিত গবেষণার জন্য আর দুই বিজ্ঞানী জন রবার্ট ভেন ও বেনগট স্যামুয়েলসনের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত