ঢাকা ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সেপ্টেম্বরে সড়কে ৪২৬ প্রাণহানি, বেশি মৃত্যু বাইক দুর্ঘটনায়

সেপ্টেম্বরে সড়কে ৪২৬ প্রাণহানি, বেশি মৃত্যু বাইক দুর্ঘটনায়

সেপ্টেম্বর মাসে সারাদেশে ৩৯২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪২৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮১৩ জন। এর মধ্যে ১৬৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৭৯ জন।

গত মাসে আটটি নৌ-দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন দুইজন। এছাড়া ১৭টি রেল দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত এবং নয়জন আহত হয়েছেন। সবমিলিয়ে তিন পথে দুর্ঘটনায় ৪৫০ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সকালে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬২টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৪৪টি আঞ্চলিক সড়কে, ৪৭টি গ্রামীণ সড়কে এবং ৩৪টি শহরের সড়কে এবং ৫টি অন্যান্য স্থানে সংঘটিত হয়েছে। দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৬৩২টি। এর মধ্যে বাস ৯৮, ট্রাক ১০৬, কাভার্ডভ্যান ১৮, পিকআপ ২১, ট্রাক্টর ১১, ট্রলি ৪, লরি ১০, ড্রাম ট্রাক ৭, তেলবাহী লরি ২, রোড রোলার ১, মাইক্রোবাস ১৬, প্রাইভেটকার ১৫, অ্যাম্বুলেন্স ৫, পাজেরো ২, মোটরসাইকেল ১৭৩, থ্রি-হুইলার ৯৬ (ইজিবাইক- সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ১৮ (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-চান্দের গাড়ি-মাহিন্দ্র-হ্যালোবাইক, বাইসাইকেল-রিকশা-রিকশাভ্যান ১৩ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ১৬টি। দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৭৯ জন, বাসের যাত্রী ২৫ জন, ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ২২ জন, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস আরোহী ২৪ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ৬৩ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু) ৬ জন এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা আরোহী ১০ জন নিহত হয়েছেন।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজিকে। সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে- দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে, চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে, বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে, পর্যায়ক্রমে সকল মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে, গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে, রেল ও নৌ-পথ সংস্কার করে সড়ক পথের উপর চাপ কমাতে হবে, টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত