চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে আগামী ১৫ অক্টোবর। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবছর বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও শিক্ষামন্ত্রী গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল হস্তান্তর করেন। পরে শিক্ষামন্ত্রী আলাদা সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত ঘোষণা করে থাকেন। তবে এবছর এসব আনুষ্ঠানিকতা থাকছে না। অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, আগামী ১৫ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। শিক্ষা বোর্ডগুলো সকাল ১১টায় স্ব স্ব বোর্ড নিজেরাই ফলাফল প্রকাশ করবেন। এবার আগের মতো কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই। চেয়ারম্যানরা নিজেরাই ফল প্রকাশ করবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এর আগে পরীক্ষা হয়ে যাওয়া বিষয়গুলোর খাতা মূল্যায়ন করে অবশিষ্ট বিষয়গুলোতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতে (সাবজেক্ট ম্যাপিং) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের ৩০ জুন থেকে সারা দেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবার সারা দেশে পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে গত ১৮, ২১, ২৩ ও ২৫, ২৮ জুলাই এবং ১ ও ৪ আগস্টের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সবশেষে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সময়সূচি প্রকাশ করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। এরপর অবশিষ্ট পরীক্ষা না নেয়ার দাবি করে পরীক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল ঘোষণার দেয় সরকার।
এরপর আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয় সাবজেক্ট ম্যাপিং করে স্থগিত পরীক্ষার ফলাফল দেয়া হবে। আর যেসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে সেসব পরীক্ষার মূল্যায়ন করা হবে। প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, জেএসসির বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এইচএসসির ৭৫ শতাংশ যোগ করে যে নম্বর পাবে সেই নম্বরের ভিত্তিতে পরীক্ষার ফল নির্ধারণ করা হবে। প্রস্তাবের পর মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দেয়, স্থগিত পরীক্ষাগুলো শুধু এইচএসসি পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল দিতে হবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত করে শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকে ফল ঘোষণার তারিখ নির্ধারণের প্রস্তাব দেয়া হয়।