ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

সুপারি বাগানে সাথী ফসল চাষে বাড়তি আয়!

সুপারি বাগানে সাথী ফসল চাষে বাড়তি আয়!

লালমনিরহাটে বিজ্ঞানসম্মতভাবে চাষ করতে পারলেই সুপারি বাগান থেকে ভালোই লাভ পাওয়া যায়। সাথী ফসল হিসেবে সুপারি বাগানে পান, আদা, কচু, কলা, হলুদ, সবজি, লেবু, লটকন ও আনারস চাষ করা যেতে পারে। এ জেলার জন্য সুপারির ভালো জাত বেচে নিতে হবে। পানি দাঁড়ায় না এমন উঁচু জমি সুপারি চাষের জন্য আদর্শ। যেকোনো মাটিতে সুপারি চাষ সম্ভব। তবে বেশি ফলন পেতে বেলে-দোঁয়াশ ও পলি মাটি আদর্শ। ভালো জাতের একটি গাছ থেকে বছরে অনায়াসে ৩ হতে ৫ পোন সুপারি পাওয়া যায়। নার্সারি থেকে চারা কিনে এনে লাগানো যেতে পারে। আবার কৃষক নিজেরাও চারা তৈরি করে নিতে পারেন। পুকুরপাড় ও ক্ষেতের আইলে সুপারি গাছ লাগাতে অতিরিক্ত কোনো জমির প্রয়োজন হয় না এবং জমির ফসলের তেমন ক্ষতি না হওয়ায় সুপারি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন বেকার শিক্ষিত যুবক ও চাষিরা।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘিরে দেখা গেছে, বিভিন্ন গ্রামের অনেকে বেকার শিক্ষিত যুবক এবং কৃষকরা পতিত জমি, পুকুরপাড় এবং ক্ষেতের সুপারি গাছের বাগান করে সফলতার মুখ দেখেছেন। এসব উৎপাদিত সুপারি জেলার চাহিদা পুরোপুরি মিটিয়ে রংপুর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে। এতে কৃষক ও বেকার যুবকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া ছাড়াও এসব গাছের শক্ত অংশ দিয়ে গ্রামাঞ্চলের ঘরবাড়িতে বসার মাচা (টং) এবং চালের বাতা করে ঘর নির্মাণ করছেন তারা। সুপারি গাছের পাতা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও সারা বছর নিজ পরিবারের সুপারির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিক্রি করে সংসারের সিংহভাগ ব্যয় মেটানো হচ্ছে।

সদর উপজেলার কোদালখাতা গ্রামের আব্দুল হান্নান বলেন, এক সময় নিজেদের প্রয়োজনে বাড়ির আশপাশের অল্প কিছু সুপারি গাছ লাগাতাম। এখন লালমনিরহাটে পাকা লাল রঙের সুপারি চাষ করছি বাণিজ্যিকভাবে। এর পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে সুপারি বাগানে পান চাষ করছি। এতে বছরে কয়েক লাখ টাকা বাড়তি আয় হচ্ছে আমার। আদিতমারী উপজেলার পশ্চিমপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন বাবু জানান, বসতবাড়ির আশপাশে আমার কয়েকটি সুপারি গাছ রয়েছে। এ গাছে সাথী ফসল হিসেবে সুপারি ও পান চাষ করছি। সুপারি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন বলেও জানান তিনি। লালমনিরহাটের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: শহীদুল ইসলাম খন্দকার জানান, লালমনিরহাটের মাটি এবং আবহাওয়া সুপারি ও পান চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এ কারণে এখানকার সুপারি ও পান আকারে অনেক বড় এবং সুস্বাদু হয়। কৃষকের পাশাপাশি বর্তমানে এ জেলা অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক সুপারির চাষে ঝুঁকে পড়ছেন। ফলে তারা দারিদ্র্যতাকে জয় করে স্বাবলম্বী হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত