অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের নামে গরিবের বাড়িঘর ভাঙা হয়েছে
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, বিগত বছরগুলোতে নদীর আশেপাশের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের নামে গরিবের বাড়িঘর ভাঙা হয়েছে। অথচ এসব ঘরবাড়ির পাশেই বিশাল ভবন এখনো বীরদর্পে দাঁড়িয়ে আছে। গত বুধবার ঢাকার কাওরানবাজারস্থ পানি ভবনে ব্লু নেটওয়ার্ক এরাউন্ড ঢাকা সিটি শীর্ষক সেমিনারে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনিন। উপদেষ্টা বলেন, উচ্ছেদের নামে যেসব এলাকায় ভাঙা হয়েছে, রাজধানীর অধিকাংশ গৃহপরিচারিকারা এসব এলাকায় থাকেন। এভাবে উচ্ছেদ করো ঠিক না, তাদের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ে। পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে সেমিনারে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। হাসান আরিফ বলেন, আমরা বিশেষজ্ঞগণকে সমন্বয় করে কমিটি গঠন করেছি। আমাদের প্রথম কাজ হবে তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে সমস্যা চিহ্নিত করা। তারপর সমাধানের পথ খুঁজে বের করা। আমরা জানি, রোড কনস্ট্রাকশান নির্মাণে সঠিক নিয়মণ্ডনীতি অনুসরণ করা হয়নি। আমাদের সমন্বিতভাবে এখন একশন প্লান শুরু করতে হবে। বিশেষজ্ঞমহল থেকে যে প্রস্তাবনা আসছে তা যাচাই-বাছাই করে স্বিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান জানান, ঢাকা শহরে খাল-বিল, নদী-নালা বন্ধ হতে হতে এমন অবস্থায় এসেছে যা আমরা কখনো প্রত্যশা করিনি। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে হবে। অবৈধ দখলদারদের থেকে যদি নদী-নালা উদ্ধার করতে না পারি, তাহলে জুলাই-আগস্ট মাসে অভ্যুত্থানের ফলাফল জনগণ দেখতে পাবে না। এ জন্য মন্ত্রণালয় থেকে যা করা দরকার তা করবো।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা যদি ঢাকার খাল ও নদী নিয়ে না ভাবি তাহলে ঢাকাকে বাঁচাতে পারবো না। ঢাকার নদী ও খালগুলোকে বাঁচাতে হলে সমন্বিত কর্মপরিকলনা গ্রহণ করতে হবে। ঢাকার প্রত্যেকটা খালের বাস্তব চিত্র খুঁজে বের করতে হবে। ঢাকার নদী ও খালগুলোকে রক্ষা করতে আমাদের তাৎক্ষণিক, মধ্যমেয়াদি ও ৩ বছরের রোডম্যাপ এবং সমন্বিত একশন প্ল্যান তৈয়ার করতে হবে। ঢাকার বর্তমান প্রজন্ম কোনো পরিষ্কার খাল দেখেনি। তিনি তার বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, রাজউক, সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে যুক্ত করে দ্রুত ঢাকার খাল ও নদী দখলমুক্ত করার কর্মসূচি গ্রহণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ ছাড়া তিনি ঢাকার খালগুলো দূষণ এবং দখলমুক্ত করার প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের ব্যয় সাশ্রয়ী হওয়ার তাগিদ দেন। সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল হাসান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞাসহ আরো অনেকে।