বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ-মিয়ানমার জলসীমার মাঝামাঝি স্থানে গুলিতে ওসমান গনি নামে একজন বাংলাদেশি জেলে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো ২ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত বুধবার দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামের বঙ্গোপসাগরের মোহনায় এই ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত জেলে ওসমান গনি টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ কোনারপাড়া এলাকার বাঁচা মিয়ার ছেলে। তবে তাৎক্ষণিক আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়দের বরাতে ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও মিয়ানমার মধ্যবর্তী বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে বাংলাদেশের মাছ ধরার নৌকায় মিয়ানমারের নৌবাহিনী গুলি করে এবং ৬টি ট্রলার ৫০ থেকে ৬০ জন জেলেসহ আটক করে। গুলিতে বাংলাদেশি জেলে ওসমান গনি মারা যায় এবং দুজন আহত হয়েছে। এ ঘটনার বিষয়ে জেলেদের পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার সকালে অবগত করে। পরে দুপুরে মিয়ানমার নৌবাহিনী বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে ১টি নৌকাসহ জেলেদের হস্তান্তর করে। বর্তমানে কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে ১টি নৌকাসহ নিহত জেলের লাশ ও ১১ জন জেলে নিয়ে শাহপরীরদ্বীপ জেটিতে পৌঁছে।
তিনি আরো বলেন, জেলেরা জানিয়েছে তারা বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করেনি। তারপরও বিপরীত দিক থেকে তাদের উপর গুলি ছোড়া হয়েছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ অন্যান্য ৫টি ট্রলারসহ অন্যান্য জেলেদের ছাড়েনি। এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এরআগে সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ মোহনা থেকে পাঁচ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মি। পরে মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচ বাংলাদেশি জেলেকে বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করেছে আরাকান আর্মি।